আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুরঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় রবিউল ইসলাম রবি (৩৫) নামে এক ব্যক্তি বসত ভিটা কৌশলে লিখে নেওয়ায় আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
গত শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমানিক ১০ টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ঘাস পোড়ানো বিষ খান রবিউল ইসলাম রবি পরে দৌলতপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে মারা যান তিনি ।
রবিউল ইসলাম রবি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের জমির মোল্লার ছেলে।
এ বিষয়ে রবির স্ত্রী শীলা খাতুন ও মা লোথিফন নেছা বলেন, রবি মথুরাপুর দেওয়ান পাড়া এলাকার মৃত আকছেদ দেওয়ানের ছেলে আসাদুল দেওয়ানের কাছে উঠাবসা করতো। আসাদুল দেওয়ান একজন সুদ ব্যবসায়ী সে কিছু টাকা রবিকে দিয়ে গত চার মাস আগে রাস্তার জমি নেওয়ার নাম করে কৌশলে বসত ভিটা লিখে নিয়েছে। এ বিষয়টি রবি জানতে পাওয়ার পরে রবি বিষ খেয়ে আত্মাহত্যা করেছে। রবির মৃত্যুর পরেই আসাদুল দেওয়ান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও মেম্বার একরামুল হক কে নিয়ে বসে শালিশের মাধ্যমে জমি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন সম্পন্ন করে। রবির তিনটা ছোট ছোট মেয়ে সন্তান থাকাতে তাদের শর্ত মেনে নেই । একদিন পরে আসাদুল দেওয়ান আর জমি ফেরত দিতে চায় না। তাই আমরা রবির আত্মহত্যার পিছনে জড়িত আসাদুল দেওয়ানের বিচার চাই আমরা গত( ২ অক্টোবর) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে একরামুল মেম্বার বলেন, জমি ফেরত দেওয়ার কথা হয়ে রবির লাশ দাফন হয়েছে।
এ বিষয় আসাদুল দেওয়ান বলেন, আমার কাছে থেকে টাকা নিয়েছে তাই আমি জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি। তাহলে রবির মৃত্যুর পরে দাফনের আগে কেন শালিশ হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদুল দেওয়ান বলেন তখন আমার উপর জোর করে শালিশ করা হয়েছে। এই শালিশ আমি মানি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার সেকেন্ড অফিসার ও ইউ ডি মামলার তদন্তকারী অফিসার , এস আই মাছুম বিল্লাহ তিনি বলেন শুনেছি আসাদুল দেওয়ান এর সাথে রবির জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। তবে পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়েছে।