এম এ শাহিন হোসেন কুমারখালী: শিশুদের মাঝে নিজের প্রাণ খুঁজে পান আলোকিত মানুষ নাসির মাষ্টার। ছোটকাল থেকেই পশু -পাখি নদী-নালা বই- পুস্তক,গাছ- গাছালি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার নেশায় তাড়িত করতো তাকে।
গড়াই নদীর একদম কোলঘেঁষে তাদের বাড়ি হওয়ার সুবাদে তিনি মুক্ত চিন্তে খোলা আকাশে-বাতাসে দিনে দিনে শৈশব, কৈশোর, যৌবন কাটিয়ে এখন তিনি প্রবীণের কোঠায় এসে পৌঁছেছেন। কর্ম জীবনে তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাকতা পেশার নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি সহজেই নিজের ভাবনা চিন্তাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন শিশুপার্ক।
সেখানে তিনি গড়ে তুলেছেন পাখিদের জন্য এক অভয়ারণ্য। প্রতিদিন পাখিরা আসে সেখানে স্নান করতে তিনি পাখিদের স্নানের জন্য নির্ধারিত স্নান স্থান গড়ে তুলেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় দুই’শো প্রজাতির গাছ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংগ্রহশালা, বিভিন্ন ধরনের পত্রিকার সংগ্রহ, নানাবিধ বই, শিশু -কিশোরদের জন্য নানান ধরনের খেলনা, দোলনা, শরীরচর্চা, বিভিন্ন মনীষির ছবি ও তাদের বানী। এক নজরে না দেখলে অবিশ্বাস্যই রয়ে যায়।
নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা কিনে তিনি রেখেছেন কুলছুম নেছা শিশু পার্ক ও সংগ্রহশালা গবেষণা কেন্দ্র।
২ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০ টায় “জীব ও বৈচিত্র্য সংরকখনে শিশু কিশোরদের উদ্বোকরন” করতে ও সম্পুর্ন বিনামূল্যে পার্কে আমন্ত্রণ জানিয়ে শিশু কিশোরদেরদের মুখে হাসি ফোটাতে তার এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কুমারখালী জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকারিয়া খান জেমস। তিনি বলেন নাসির স্যার নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান এরকম মুক্তমনের আলোকিত মানুষ পাওয়া বর্তমান সময়ে সত্যিই দুস্কর!
কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিশির কুমার বিশ্বাস বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরি করার মহামনের কারিগড় নাসির স্যার।
নাসির মাষ্টারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ ও স্বাগত জানিয়ে তাকে শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা জানিয়েছেন অনেকেই।
মুক্ত মনের এই মহৎ মানুষ নাসির উদ্দিন মাষ্টার বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই শিশুরাই আমার প্রাণ আমি শিশুদের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই।
কয়েকশো শিশু কিশোর ছাড়াও শিক্ষক ও অভিভাবকেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নাসির মাষ্টার বেঁচে থাকুক তার কর্মের মাধ্যমে সময় কখনোই বৃদ্ধ হয়না, সতেজ থাকে সবখানেই।