কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দুর্বাচারা গ্রামে সশস্ত্র মহড়ার ও অর্ধশতাধিক গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান আব্দুল লতিফ লাট্টু বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে লাট্টু বাহিনীর অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য আগ্নীয়অস্ত্রসহ দুবাচারা গ্লাচালায় ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাংচুর করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানা যায়, চরমপন্থী নেতা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও বাহিনী গোছাতে তৎপরতা দেখাচ্ছে এক সময়ের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান আব্দুল লতিফ লাট্টু (৬৫)।
পুলিশ সূত্র মতে জানা যায়, ওয়ারেন্টভুক্ত ও হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে লাট্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তিনি ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন। সেসময় চরমপন্থী বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত ও গ্রামবাসীর মধ্যে ভীতি তৈরি করার জন্য হঠাৎ এলাকায় মহড়া দিয়ে আবার গা ঢাকা দিতেন। লাট্টু বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চরমপন্থী সংগঠন শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন ও গণমুক্তি ফৌজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তিনি সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা দোপের পাড়া গ্রামের মৃত তেজারত আলীর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, সম্প্রতি লাট্টু আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগেরমতো সন্ত্রাসী বাহিনী গোছাতে তৎপরতা দেখাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে গ্রামবাসীর মধ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে লাট্টুর নেতৃত্বে জামশের আলী মাস্টার,মসব্যাপারী, হাতকাটা আরিফ, রতন শেখ, আব্দুল্লাহ, রাকিব শেখ, অপি, ইদ্রিস, ইনু পাকা, আজো, সাহেব আলী (মিস্ত্রি), ময়না সর্দার, হাবিবুর মোল্লা, জিল্লু মোল্লাসহ ২৫-৩০ জন দুর্বাচারা গ্রামে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন।
এদিকে আবারো লাট্টু বাহিনীর তৎপরতা দেখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গ্রামবাসী।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আন্নুর জায়েদের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুড়েছে দূর্বৃত্তরা। তবে কারা করেছে তাদের চেনা সম্ভব হয়নি। তাদের সনাক্ত করার জন্য তদন্ত চলছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।