পুলিশ ও কারাগার সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সাঈদীর মরদেহে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। এর আগে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করবে।
কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে কালবেলাকে বলেন, চিকিৎসকের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ পাওয়ার পর তা পুলিশকে দেয়া হবে। এরপর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠাবে। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এই ময়নাতদন্ত হবে। এরপর মরদেহ সাঈদীর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে রাতে জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মু.আতাউর রহমান জানিয়েছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজ ছেলে দেশের বাহিরে আছেন। তিনি রওয়ানা হয়েছেন। সকালে (মঙ্গলবার) জানাযার সময় ও স্থান জানানো হবে।
উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, রোববার (১৩ আগস্ট) বিকালে তিনি কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সূত্র: কালবেলা