আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুর: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বিয়েজ পুর গ্রামের মৃত মহরম আলীর ছেলে আব্দর রশিদের একই এলাকার মৃত শিতার উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলামের জমি দখল করে পাঁকা স্থাপনা গড়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০/১৫ বছর পূর্বে আমার বাবা শিতাব উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় বিবাদী মোঃআব্দুর রশিদ ভূমিহীন হওয়াতে বেজপুর ঈদগাহ সংলগ্ন আমার বাবার নামীয় ১০ শতক জমিতে কিছুদিনথাকার জন্য আশ্রয় নেয় এবং তাহার জমি কিনে অন্যত্রে চলে যাবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়া অস্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে।
পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও রশিদ আমার বাবার নামীয় জমি ছেড়ে অন্যত্রে যায় না। এমতাবস্থায় রশিদ আমার বাবার নামীয় সম্মত্তিতে থাকা গাছ পালা কাটার হুমকি প্রদর্শন সহ স্থাপনা নির্মান করার
জোর প্রচেষ্টা চালাইতেছে। ইং ১৭/০৫/২০২৩ তাং সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় রশিদ ও তার ছেলে তৌফিকুল আমার বাবার নামীয় জমির উপর ইট বালু ফেলিয়া পাকা স্থাপনা নির্মান করার প্রচেষ্টা চালায় । ঐ সময় আমি
নিষেধ করিতে গেলে রশিদ আমার কথা না শুনিয়া আমাকে অকথ্য অশালিন ভাষায়
গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে।
এ সময় তিনি আর উল্লেখ করেন, আব্দুর রশিদ দৌলতখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেলেও আমার জায়গা দখল করে বসে আছেন সেই ঘরে জায় নাই।
এ বিষয়ে আব্দুর রশিদ বলেন, আমি শিতাব উদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘদিন কাজ করতাম রাখাল হিসেবে। শিতাব উদ্দিন আমি ভূমিহীন হওয়ার কারনে আমাকে এখানে বসবাস করতে দিয়েছিলেন। তবে এই জায়গা তো রাস্তার জায়গা তাই আমি এই জায়গা ছাড়বোনা। পিছনে শিতাব উদ্দিনের যতই জমি থাকনা কেন আমি এই জায়গা ছাড়বোনা।
এই জমি দখলের জন্য কোন ধরনের কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে রশিদ বলেন, না কোন কাগজ নাই তবে এটা সরকারি জমি তাই আমি ছাড়বো না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, শিতাব উদ্দিনের তিন ছেলে অত্যান্ত ভালো মানুষ শুধু আব্দুর রশিদ না তাদের জমিতে বর্তমানে প্রায় আর ১০ টি ভূমিহীন পরিবার বাড়ি করে আছে। এই যুগে এই ধরনের ঘটনা বিরল। তাই আমরা চাই এই ভূমিহীনদের আশ্রয়দাতা তহিদুলের পরিবার যেন হয়রানির শিকার না হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে এখন প্রর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ হয় নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।