কুষ্টিয়া শহরতলীর পূর্ব মিলপাড়া এলাকায় মোঃ সাহিদুল ইসলাম মিলন (৩৪) নামের এক যুবকের উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা অভিযোগ উঠেছে। আহত মিলন কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া এলাকার মোঃ মোমিন মন্ডলের ছেলে।
শনিবার (১৩ মে) রাত ৯ টার সময় কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদ পুকারীর ছেলে মোঃ রাজীব (৩০), একই এলাকার মৃত উদ্ভুত মন্ডলের ছেলে হাজিদুল ইসলাম (৪০),ও ছেউড়িয়া কারিগর পাড়া এলাকার মুলতান হোসেন তারার ছেলে এনামুল হক ইমন (২৮) এই হামলা চালিয়েছে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী মিলন জানান, দীর্ঘদিন ধরে হামলাকারীদের সাথে আমাদের ঝামেলা চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৩/০৫/২০২৩ ইং তারিখ রাত্র অনুমান ০৯.০০ টার সময় আমি কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মিলপাড়া মহাশ্মশানের পাশে মোঃ শাহীন এর দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় রাজীব আমাকে দেখে বলে ” এই সালা আমি তো তোকে খুঁজছিলাম।” এ কথা বলার সাথে রাজীব আমাকে জোর পূর্বক তারার গ্যারেজের ভিতর নিয়ে যায়। এ সময় রাজীবের বি হুকুমে হাজিদুলের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করিয়া রক্তাক্ত গুরুতর কাটা জখম করে। আমি গ্যারেজের ভিতরে পড়ে গেলে রাজীব তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার সারা শরীরের এলোপাথাড়িীভাবে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। এ সময় আমার আত্মচিৎকার করতে গেলে হাজিদুল আমার গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করার চেষ্টা করে এবং ইমন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিতে গেলে আমি ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে উক্ত আঘাত আমার ডান হাতে লেগে কাটা জখম প্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে
হামলাকারীরা আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কুষ্টিয়াতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।হামলাকারীরা অনেক খারাপ প্রকৃতির হওয়ায় যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বিষয়টি আমি আমার পরিবারের লোকজনের সহিত আলোচনা করে অভিযোগ দায়ের করি।