আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুরঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুরের গত ২৫ তারিখ রাতে মারুফের বন্ধু আলামিন ও রুবেল বাড়ি থেকে মারুফকে ডেকে নিয়ে যায় । পরে রাত আনুমানিক দশটার পরে মারুফের ফোন বন্ধ পাওয়া পরিবারের লোকজন । এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানা একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে বৈরাগীর চর এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী মারুফের বালু চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় এজাহার নামীয় তিন জন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ দিকে হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে চক কৃষ্ণপুর গ্রামের মারুফের শোশুর একই এলাকার মৃত চায়েন উদ্দিনের ছেলে সোমির উদ্দিন মালিথা চাক কৃষ্ণপুর পশ্চিম পাড়ার ডিপের মাঠে পুকুরে মিস্টি দিয়ে মাছ মেয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সোমির উদ্দিন বলেন, আমার জামায় অপহরণের পরে তার লাশ পাওয়া যায় বালুর চরে। আমার ধারনা আমার জামায়কে যারা হত্যা করেছে বা হত্যার পরিকল্পনায় ছিল তারা আসামী না হওয়ায় আমার পুকুরে মিস্টি দিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে।কারন এত পুকুর থাকতে আমার পুকুরে কেন মিস্টি ফেলা হলো। তার পরেও মেনে নেওয়া যেত যদি আশেপাশে কোন মিস্টির হোটেল থাকতো। তাই আমি এই দুইটি ঘটনা আমার জামায় হত্যা ও পুকুরে মিস্টি দিয়ে মাছ মেয়ে দেওয়ার সঠিক তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, মারুফ কে যারা হত্যা করেছে তাদের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই আমরা। আমাদের মনে হয় মারুফ হত্যা ও পুকুরে মিস্টি দিয়ে মাছ মেয়ে দেওয়ার একই সূত্রে গাথা। তাই বিষয়টি অধিক তদন্ত চাই আমরা।
এ বিষয়ে মারুফ হত্যা মামলার তদন্ত করী অফিসার ও বিট অফিসার এস আই মেহেদি হাসান বলেন, বিষয়টি অধিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।