কাকন সরকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: দেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, “আমাদের দেশ আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন যাদের বয়স ৬০-৭০ বছরের কোঠায়, তারাই বুঝতে পারেন তখন কি অবস্থা ছিল আর আজ আমরা কোথায় আছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আরো দ্রুত দেশকে গতিশীলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, রাস্ট্রের আর্থিক সংগতি বৃদ্ধি করা। সেইসাথে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে গতিশীল রাস্ট্রের সাথে খাপ খাইয়ে একটি গতিশীল জুডিশিয়ারী তৈরী করা। আমরা বিচার বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ ও আইনজীবী সহকারীবৃন্দ সবাই মিলে পরিশ্রম করে চেষ্টা করছি জুডিশিয়ারীকে আরো গতিশীল করার।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে গত বছর হাইকোর্ট বিভাগে ৮ লক্ষেরও বেশী কেস ডিসপোজাল হয়েছে। এই সংখ্যা উক্ত সময়ে দাখিলকৃত কেসের চেয়ে অনেক বেশী। শেরপুরে বিগত বছরে মেজিস্টেসিতে কেস ডিসপোজাল হয়েছে ১৪২%, আর জজ কোর্টের সিভিল বিভাগে কেস ডিসপোজাল হয়েছে ১০১% এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬% হয়েছে। বিজ্ঞ আইনজীবীদের সহযোগিতা এবং বিচারকদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই এটা সম্ভব হয়েছে। শেরপুরে মামলা জট একটা সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। তিনি শেরপুরের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সারাদেশে মামলা জট কমিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৃহস্প্রতিবার ২৭ এপ্রিল সকালে শেরপুরের আদালত প্রাঙ্গনে ‘ন্যায় কুঞ্জ’ (বিচার প্রর্থীদের বিশ্রাম কক্ষ) উদ্বোধন শেষে তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি জেলা জজ কোর্ট মিলনায়তনে বিচারকদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর তিনি আদালত প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন করেন। এছাড়াও জেলা আইনজীবীদের সাথে বৈঠক ও আইনজীবীদের লাইব্রেরী উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সি মোহাম্মদ মশিউর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ ও জেলার চীফ জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।