কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকাতলা রামবাজারে মাদক ব্যবসায়ীদের আয়োজনে ফটিক সাধুর নামে মাদকের মেলার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। শুভ নববর্ষের নাম করে বৈশাখী মেলার নাম করে ফটিক সাধুর বৈশাখী মেলা নাম দেওয়া হয়েছে।
ঈদের পরদিন বাগুলাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবা বিশ্বাসের দুই ছেলে মাদক ব্যবসায়ী টিপু ও সাবুর নেতৃত্বে তিনদিন ব্যাপি এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই মেলার আয়োজক হিসেবে সাবু বিশ্বাস বিভিন্ন ধরনের চিঠির মাধ্যমে কুমারখালীর মান্যগন্য নেতাদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য চিঠি প্রস্তুত করেছে৷
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বাগুলাট রামবাজার এলাকায় এর আগে কোনদিন এরকম মেলা বসেনি। মাদক ব্যবসায় পরিচালনার জন্যই এই মেলার মূলত আয়োজন করা হচ্ছে। সাধুসঙ্গর নামে সেখানে প্রতিনিয়ত গাঁজার আসর বসে। সেই মাদকের আসরে কোন পুলিশ প্রশাসন যাতে সমস্যা না করতে পারে সেই কারনেই মূলত নাম মাত্র মেলার আয়োজন করে মাদকের আসর বৈধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা।শুধু মাদক ব্যবসা ও সেবন নয় সাথে জুয়ার আসর বসবেও বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও টিপু ও সাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। টিপু ও সাবু এলাকায় মাদক সম্রাট নামে চিন্হিত। ইতিপূর্বে র্যাব,ডিবি ও কুমারখালী থানা পুলিশ একাধিকবার গাঁজা ও ইয়াবা সহ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় এমন মাদক মেলা ও জুয়ার আসর বসলে একদিকে যেমন এলাকার মানক্ষুন্য হবে। অপরদিকে এলাকাবাসীদের মধ্যে মেলা নিয়ে বিরুপ প্রভাব বিস্তার করছে। এই মেলা চললে হয়তো সেখানে আইনশৃংখলার ব্যাপক অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। শুধু তাই নয় এভাবে মাদকের আসর বসলে যুবসমাজ এই মাদকের ভয়াল থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। এলাকাবাসীর দাবি এই মেলার নাম করে মাদকের আসর বন্ধ করা হোক।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আমাদের এলাকায় কখনো এই মেলার আয়োজন করা হয়নি। ফটিক সাধুর বৈশাখী মেলা নাম দিয়ে মেলার একটি আয়োজন করা হচ্ছে। আসলে সেই ফটিক সাধুর ওখানে প্রায়ই গাঁজার আসর বসে৷ ফটিক সাধুর নাম দিয়ে এই মেলা করার কারন হচ্ছে গাঁজা খাওয়া ও বিক্রি করার মতন অবস্থা। এখানে একবার এই মেলা শুরু হলে প্রতিবছর এই মেলার নামে চলবে মাদক ব্যবসা ও মাদকের আসর। আমরা চাই আমাদের এলাকায় কোন রকম যাতে এই মাদকের আসর না বসানো হয়। আমরা প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি তারা যাতে এই মেলার অনুমোদন না দেয়।
বিষয়টি নিয়ে কুমারখালী থানার ওসি মোঃ মোহাসিন হোসাইনের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। খবর এসেছে সেখানে মেলার নামএ মাদকের আসর বসবে। আমি মেলা করতে নিষেধ করে দিয়েছি।