শিরোনামঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির সূর্য সন্তান ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন বাউফলে গভীর রাতে ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি, নিরাপত্তাহীনতায় চাষিরা পোরশায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কুষ্টিয়া জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল-মনোরঞ্জন শীল গোপাল। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শার্শার বাগআঁচড়া দাঃ আঃ শিক্ষা সদনের স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বাগআঁচড়া ডাঃ আফিল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে ২৬শে মার্চের আলোচনা সভা দূয়া অনুষ্ঠিত।

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেটের সময়। রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে হাফিজা খাতুন নামের এক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সাথে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আলী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদ গ্রাম এলাকার সোনাউল্লাহর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জহুরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ মামলার অপর আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আল্লেকের ভাই মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে। মনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হাফিজা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী আল্লেক আলী। ২০০৬ সালের ৩০ জুন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আরআগে রাতের যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয় স্বামী আল্লেক ও তার ভাই মনা।

এঘটনায় নিহতের মামা আসমত আলী ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর আসামির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এবং হত্যায় সহযোগিতা করায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ভাইকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামিদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর