শিরোনামঃ
বাউফলে গভীর রাতে ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি, নিরাপত্তাহীনতায় চাষিরা পোরশায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কুষ্টিয়া জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল-মনোরঞ্জন শীল গোপাল। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শার্শার বাগআঁচড়া দাঃ আঃ শিক্ষা সদনের স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বাগআঁচড়া ডাঃ আফিল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে ২৬শে মার্চের আলোচনা সভা দূয়া অনুষ্ঠিত। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাসীব আলম তালুকদার

পোরশার উত্তাল পূর্ণভবা নদী এখন মরা খাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেটের সময়। সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩

আমিরুদ্দীন বাবু পোরশা (নওগাঁ) :নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের উত্তাল পূর্নভবা নদী নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। ফলে খরার এ মৌসুমে নদীর বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা ভূগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করে চাষ করেছেন হাজার-হাজার বিঘা বোরো ধান।

নদীটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পালতোলা নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার। মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর, রহনপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানের ব্যবসা কেন্দ্র গুলোতে। সে সময়ে বিভিন্ন স্থানের বড় বড় হাট বাজারে ধান, পাট, আলু, বেগুন, সরিষা, কালাই, গমসহ বিভিন্ন পন্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ছুটে চলতেন। শুধু পন্যই নয় হাট বাজার গুলিতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশুপাখিও। ঐ সময়ে পূর্নভবা ছিল পূর্ন যৌবনা।

এলাকার একমাত্র নদী পথ হিসাবে ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিলেন। শুধু হাট বাজারই নয়, নদীটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এ নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ফলাতো। এর পানি দিয়ে নানা ফসলে ভরে উঠত ফসলের ক্ষেত। আবার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূর্নভবা। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। ফলে জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। জীবিকা নির্বাহের জন্য জেলেরা রাত দিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো।

সময় গড়িয়ে চলার সাথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূর্ণভবা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। নদীর পাড়গুলো হয়েছে কৃষি জমি। নদী গর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলা। এক সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎস গুলো হয়েগেছে চিরতরে বন্ধ। থমকে গেছে নদী, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা। নদীকেন্দ্রিক সম্ভবনা গুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। খরা মৌসুমে সরকারি ভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত মরা খালে পরিণত হতো না।

নদীটি কখনও খনন বা রক্ষণা-বেক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। খরা মৌসুমে নদীর জায়গা দখল করে অনেকেই ধান চাষ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন। নদীটির পানি তাড়াতাড়ী শুকিয়ে যাওয়ার কারনে ইরি বোরো মৌসুমে ভূগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করে চাষাবাদ করেন স্থানীয় চাষিরা। স্থানীয় চাষিদের দাবি নিতপুর পুনর্ভবা নদীতে একটি রাবার ড্যাম বা বাঁধ নির্মান করা। নদীতে রাবার ড্যাম বা বাঁধ থাকলে খরা মৌসুমে পানি আটকানো সম্ভব। আর খরা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলে কৃষকরা ঐ পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে পারবেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর