এম.সাইদুর রহমান জেলা প্রতিনিধিঃ আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশের বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। অতি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের বাজারে জিম্মি হয়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদেশের মতো একই চিত্র সরজমিনে দেখা যায় পটুয়াখালীর বাউফলে।
রবিবার (১২র মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল কেজি প্রতি ৫০-৮০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকা,মসুরির ডাল ১১০ টাকা,ছোলার ডাল ৭০-৮০ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা লিটার এবং খোলা তেল ১৪৫-১৮০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৫-৬০ টাকায়।এদিকে,কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১৩০-১৫০ টাকা,আদা ১৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, হলুদ ২০০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০-৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা।
অন্যদিকে, সস্তি নেই মুরগিতেও। ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৪০-২৫০ টাকায়, সোনালী ৩০০-৩২০ টাকা, লেয়ার কক ২৯০-৩০০ টাকা এবং প্যারেস মুরগি ৩৭০-৩৮০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার কাছিপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা অপু ব্যানার্জি নামে একজন শিক্ষক বলেন, সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে, আমরা যারা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের পরিবারের লোক তাদের বাজার করে খেয়ে বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেই।
এদিকে,কাছিপাড়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শাহআলম হাওলাদার বলেন, চিনির দাম বেড়ে আবার কমেছে। চালের দাম কেজি প্রতি ১-২ টাকা বেড়েছে। জিরার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ব্রয়লার ব্যবসায়ী রিপন সিকদার, বলেন, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ১০-২০ টাকা করে পাইকাররা দাম বাড়াচ্ছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় পাইকাররা দাম বেশি নিচ্ছে। বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে।ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সবজি বিক্রেতারা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম একটু বেশি। মৌসুম শেষের সময় সবকিছুর দাম বেশি হয়। দাম বেশি হলেও মানুষের কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমীন বলেন,সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্য নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সামনে রমজান মাসের আগেই প্রতিটি বাজারে পর্যবেক্ষ করে অসাধু ব্যবসায়িকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।