কুষ্টিয়া শহরতলী এলাকার সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত সোহান’স কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠান। কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাহিদুল ইসলাম সহ অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ কোয়েলের বিরুদ্ধে। করছেন একে অপরকে দোষারোপ, কে আসল অপরাধী জানতে চায় স্থানীয়রা। দুজনেরই স্থান সম্মানজনক।
কোচিং পরিচালক নাহিদুল ইসলাম জানান,গতকাল ৭ মার্চ আনুমানিক দুপুর দেড়টার সময় আমার কোচিং সেন্টারের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকে অপরিচিত একজনকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়, পরবর্তীতে তাকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোয়েল সহ তার বড় ভাই রক্তিম উদ্দিন জুয়েল মারধোর করেন ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম আমাকে ফোন করলে ঘটনা স্থানে আমি উপস্থিত হয় তখন জুয়েল আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে মারমুখী আচরণ করেন এবং বলে টাকা না দিলে এই ম্যানেজারকে কোচিং সেন্টারে কাজ করতে দিবো না বলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি ও চাপা আঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন চিল্লানোর আওয়াজ শুনে ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যান এবং স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কোয়েল সাংবাদিকদের জানান, সোহান’স কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ ম্যানেজার ও ইংরেজি শিক্ষক ফয়সাল আহাম্মদ তূর্য, লাম খানম নামের একটি মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেমের কথা বলে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে জানালে আমি কোচিং কতৃপক্ষ নাহিদুল ইসলামকে নিষেধ করি এবং পরবর্তীতে আবারোও এমন ধরনের কু-প্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী লাম খানমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লাম খানমের মা নিজে বাদী হয়ে তাদের তিনজনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বড় ভাই সহ আমার নামে থানায় চাঁদা বাজির অভিযোগ দিয়েছে এবং সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করছে।
তবে উঠে এসেছে দুই পক্ষের নানা ধরনের অভিযোগ দু’পক্ষই চাইছেন প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার। বিপাকে সোহান’স কোচিং সেন্টার সহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, তাহলে আসল রহস্য কি? জানতে চান ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবার ও স্থানীয় মহল্লার লোকজন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান,আমরা দুপক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিব।