চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সাম্প্রতিক বিস্ফোরণগুলোর কারণ খুঁজতে বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণগুলোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে বিদেশি কারও সহযোগিতার দরকার নেই।
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সাম্প্রতিক বিস্ফোরণগুলোর কারণ খুঁজতে বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণগুলোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে বিদেশি কারও সহযোগিতার দরকার নেই। রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বুধবার দুপুরে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাগুলো নিয়ে যথেষ্ট মতামত দেয়ার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞরা আছেন। তারা ব্যর্থ হলে আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে পারি, তবে এ মুহূর্তে সেটার প্রয়োজন হবে না।’ ভবনের বিস্ফোরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বেজমেন্ট ও নিচ তলার যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ ইমারতে পরিণত হয়েছে। ‘ভবনের ওপরে চাপ পড়লে সেটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য স্ট্যাবল অবস্থা তৈরি করে অভিযান শুরু করা হবে।’ বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তের পর জানা যাবে। কেউ যেন ইমারতের অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মাণ না করে। যারা অনুমতি না নিয়ে ভবন নির্মাণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তদন্তের ফলে পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত ফলাফল পক্ষপাতিত্ব হবে, এমনটা আমরা ভাবতেও পারি না।’ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান আশ্বস্ত করেন, তদন্ত শেষ হলে ফল প্রকাশের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন উদ্ধার অভিযান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘সঠিক নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখন তারা বিষয়টি কতটা অনুসরণ করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে, তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্ত শেষ হলেই বলা যাবে।’
সিদ্দিক বাজারের ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র- নিউজ বাংলা