মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় : পুন্য সেবার মধ্যে দিয়ে শেষ হচ্ছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেউরিয়ায় তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণাৎসব।
গত ৪, ৫ ও ৬ মার্চ লালন স্মরণাৎসব উপলক্ষে ছেউরিয়ার কালি নদীর পারে শুরু হয়েছিলো লালন সংগীত ও বিশাল মেলা।
লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে দেশ বিদেশ থেকে সাধু ভক্তরা ইতিমধ্যে লালন মাজার চত্বরে এসিছিলেন মিলন মেলায়।
মঙ্গলবার ৬ মার্চ দুপুর পর্যন্ত লালন অনুসারী ভক্তবৃন্দরা লালন মাজার চত্বর উপস্তিত ছিলেন।
লালনের মুল অনুষ্ঠান হচ্ছে দোল পূর্ণিমা। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিবছর লালনে আসা সাধুভক্তদের জন্য খবারের ব্যবস্থা করা হয়৷ এবারও ছিলো তাদের জন্য খাবারের আয়োজন।
সোমবার ৬মার্চ সন্ধ্যায় শুরু হয় অধিবাসন, ৭মার্চ সকালে শুরু হয় বাল্য সেবা এবং দুপুরবেলা পূর্ণ সেবার মাধ্যমে লালন স্মরণোৎসব শেষ হয়।
দুপুরে পূন্য সেবার খাবারে সাধু ভক্তদের জন্য হরেক রকমের আয়োজন থাকে। সাদা ভাতের সাথে সবজি, ইলিশ মাছ ভাজা, ডাল এবং দই থাকে তাদের খাবারের তালিকায়। দুপুরের পূন সেবার খাবার শেষ করে ভক্তবৃন্দরা যারযার দেশে এলাকায় যায়।
লালনের জীবনদশায় দোল পূর্নিমার রাত সাধুদের নিয়ে রাত ভোর আধ্যাতিক গান বাজনা করতেন। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টাবর ১লা কার্তিক লালনের মৃত্যুর পর তারই ধারাবাহিকতায় দোল পূর্নিমার অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।