ক্রাইম প্রতিবেদক :কুষ্টিয়া শহরের নতুন কোর্টপাড়া (সরকারী কলেজ মাঠের পূর্বপাশে) এলাকায় ভূমি জবর দখলের উৎসবে মেতেছে মহাসীন, শাওন, শামিম, রামিম, নজরুল গং। তাদের হুমকী ধামকী আর নির্যাতনে নিজের জমির আশপাশে যেতে পারছেনা জমির প্রকৃত মালিকরা। তাদের দাপটের কাছে পৌরসভা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমনিকি প্রশাসন ও অসহায়।
উল্লেখ্য যে, অত্র এলাকায় চৌড়হাস মৌজার ৮০৬৩/৮১৫৬ নং দাগের ১২ শতক জায়গার প্রকৃত মালিক মরহুম আনসার আলী তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ৩.৩০ শতাংশ জায়গা বিক্রি করেন সাইফুল আলম মিলন এবং সোহেল আহম্মেদের কাছে বিক্রি করেন ৪.৪২ শতাংশ। অতঃপর তিনি মারা গেলে তার স্ত্রী, একপুত্র এবং দুই কন্যা ওয়ারীশ সুত্রে অবশিষ্ট ৪.২৮ শতাংশের মালিক হন। কিন্তু আনসার আলী কি জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় উল্লেখিত ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের ভয়ে জায়গা দখলে নিতে বারবার ব্যার্থ হয়। আনসার আলীর ওয়ারীশগন তাদের অংশের জায়গা কিছুদিন পূর্বে এমাম হান্নান বিশ্বাস এবং মীর সাইফুল ইসলামের নিকট বায়নাপত্র করান।
এ ভূমিদস্যু মহাসীন গং মূল মালিক আনসার আলীর সম্পূর্ণ জমি অর্থাত ১২ শতাংশ জমি অদ্যাবধি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে । প্রকৃত মালিকগন বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও অদ্যাবধি ন্যায় বিচার পেতে ব্যার্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় গত ২৮/০২/২০২৩ ইং তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভার মাধ্যমে সার্ভেয়ার এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে জমি জরিপ করতে গেলে সন্ত্রাসী মহাসীন, শাওন, শামিম, রামিম সহ ১৫/২০ জন সংজ্ঞবদ্ধ ভাবে আক্রমন করে জমি জরিপ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং পরবর্তীতে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ আসলে, পুলিশের উপস্থিতিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকী ধামকী দিয়ে বলে এরপর, যদি যায়গার কাছে দেখি তাহলে সবাইকে খুন করে ফেলবো। বর্তমানে জমির প্রকৃত মালিকরা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে ।
এমনকি প্রতিনিয়ত তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে ভুক্তভুগীরা প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছেন।