কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর পৌরসভার পুরাতন বাজারে অবস্থিত প্রয়াত জোহার মিলের সামনে, অর্থাৎ পুরাতন বাজার পৌষ্ট অফিস ও কলেজ রোডের পাশে ১৮৪১ সালের প্রয়াত খ্রীস্টান ধর্মীয়দের দু’টি কবর অবস্থিত ছিল। একটি চক্রান্তকারী ভ’মি দস্যু তারা বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্য কবর দু’টি একেবারে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে এবং বেশ খানিক ইট ভেঙ্গে ফেলেছে। তবে চক্রান্তকারী ভ’মি দস্যুদের সে আশায় ছাই দিয়ে সংরক্ষনের সু ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসক। বিশেষ সূত্রে জানান গত কাল যে কোন এক সময় ঐ কবর দু’টি বেশ কিছু অংশ ভাঙ্গা দেখে মিরপুর পুরাতন বাজার কমিটিসহ স্থাণীয়রা প্রশাসনকে সংবাদ দিলে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি) ও সুযোগ্য সহকারী কমিশনার ভ’মি হারুন অর রশীদ’র নেতৃত্বে পুশিশের একটি দল ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পাই এবং পাশের জমিতে কাজরত জমির মালিককে এই নিদর্শন সংরক্ষনের জন্য- ভাঙ্গা অংশ মেরামত করার নির্দ্দেশ প্রদান করেন। সংবাদ পেয়ে মিরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ এনামূল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জানাগেছে জমির মালিক উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ীয়া গ্রামের আজিজুল করিম শুনারা, তিনি জিবিত থাকা কালিন বাজারের ব্যবসায়ীদের সামনে বলে ছিলেন “কবর দু’টির জমি আলাদা আছে, আমি বেছে থাকি-আর নাই থাকি, কেহ যেন ঐ কবরের ক্ষতি না করেন” এবং জমি দখল না করেন। আরো জানা গেছে ঐ জমির মালিকদ্বয় জমি বিক্রয়ের জন্য জৈনক মাসুদের সাথে দর-দাম করেন, এবং ঐ কবর দু’টির জমি ফেলে রেখে, অবশ্লিষ্ট জমি ক্রয় করতে সম্মত হয় জৈনক মাসুদ এবং বায়না করেন- তবে গোপনে বিকাল শাহ জমি ক্রয় করে ই কবর ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন।বিশেষ একটি সূত্রে জানান পুরাতন বাজারের বিকাল অয়েল মিল ও পরিবহন (ট্রাক) ব্যবসায়ী বুড়ো শাহ এবং তার পুত্র বিকাল শাহ বিশেষ কৌশলে ঐ জমি ক্রয় করেন। তারা-ই- ঐ কবর দুটি ভাঙ্গতে পারে বলে ও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকজন। এলাকাবাসির দাবি- বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপে ১৮৪১ সালের প্রাচীন কালের কবর দৃ’টি সংরক্ষন করার সু-ব্যবস্থা করবেন। আর তদন্ত সাপক্ষে কবর ভাঙ্গার অপরাধে অপরাধীদের আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুন। যেন এহেন কাজ-আর কেহ করতে না পারেন।