সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত ১৫টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাকসমূহ) ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এদেশে ভারতীয় ভিসা পরিষেবাসমূহ হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা অপারেশন নেটওয়ার্ক। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভারতীয় ভিসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রদান করা হয়ে থাকে। নাগরিকগণ পায়ে হেঁটে ও বাসে, অভ্যন্তরীণ নৌপথে, সমুদ্রপথে, রেলপথে স্থলসীমান্ত অতিক্রম করে ও আকাশপথে ভারতে যান। ভারতে ভিসা-ভিত্তিক ভ্রমণের এত বৈচিত্র্যময় উপায় অন্য কোনো দেশের নেই।
২. কোভিড-১৯ অতিমারির আগে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের ১৬ লাখেরও বেশি ভিসা প্রদান করা হয়। ২০২১ সালে, লকডাউন সত্ত্বেও, বাংলাদেশে ২.৩ লাখের বেশি ভিসা ইস্যু করা হয়। এর মাঝে মেডিকেল ভিসা ছিল সর্বাধিক – ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১.৯৬ লাখ মেডিকেল ভিসা ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেয়ায় এমনটা ঘটেছিল।
৩. ২০২২ সালের মার্চের শেষ থেকে স্থল বন্দর ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ (কোভিড-১৯’র ফলে সৃষ্ট) শিথিল করার কারণে ভ্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রাক-অতিমারি পর্যায়ে পৌঁছাতে শুরু করেছে, যার মাঝে ট্যুরিস্ট ভিসাও রয়েছে। বাংলাদেশে আমাদের মিশন/পোস্টসমূহ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ভিসা ইস্যু করেছে যার মধ্যে ২.৭৩ লাখ মেডিকেল ভিসা রয়েছে। সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনামূল্যে ভিসা প্রদান করা হয়। তবে, জমাদানের জন্য আইভ্যাক প্রতি ভিসা আবেদনে ৮০০/- টাকা প্রসেসিং ফি নিয়ে থাকে।
৪. ভারত ও বাংলাদেশের ভিসা ব্যবস্থাকে সর্বজনীন করতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণ চুক্তি ২০০১ সালের মে মাস থেকে চালু রয়েছে। এটি সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংশোধন করা হয় এবং দুই দেশই তাতে স্বাক্ষর করে।