মফস্বল শহরে সাংবাদিকতা পেশায় নিজের ভাগ্য বদলাতে না পারলেও কৃষিতে নিজের ভাগ্য বদলাচ্ছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল গ্রামের সুজন মাহমুদ। সাংবাদিকতাকে নিজের পেশা ও নেশা হিসেবে নিলেও কৃষক ও কৃষিতে আগ্রহ রয়েছে তার। নিজের জমিতে ফসল ফলানোর অনন্দকে বাস্তবায়ন করতে হয়ে উঠেছেন জেলার একজন কৃষি উদ্দোক্তা। সাংবাদিক সুজন মাহমুদ পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী। তিনি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দ্যা প্রেসজার্নালের জেলা প্রতিনিধি ও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনমতামত পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। কৃষি সংবাদ করতে তার অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা ও মাঠে ফসল দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন জাগে মনে। মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তার জমিতে শোভা পাচ্ছে গম,ভূট্টা,সরিষা ও মশুরী। বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের সফলতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। তার এই উদ্দোক্তা হওয়া দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন কৃষিতে। যুবকরা কৃষিতে অংশগ্রহণ করলে দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটতে বেশি সময় লাগবে না। শুধু সুজন নয়, শিক্ষিত হয়ে বেকার বসে না থেকে কৃষিতে মনোনিবেশ করলে নিজ নিজ সংসারে যেমন উন্নতি ঘটবে তেমনি দেশে কৃষকদের মান বাড়বে বলেও তরুণদের কৃষি কাজে মনোনিবেশ করতে বলছেন কৃষি বিভাগ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দশে মাধ্যমে গম,সরিষা, ও ধানের বীজ সরকার থেকে পায়। সাংবাদিক সুজন মাহমুদ জানান, গণমাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে অনেক কৃষকের জমিতে যেতে হয়। কৃষকদের সফলতার গল্প লিখতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে পড়ি কৃষিকাজে।গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে নিজের দুই বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা ও এক বিঘা গম আবাদ করে মোটা টাকা লাভ হয়।এবারো তিন বিঘা ভূট্টা দুই বিঘা গম ও মসুরি লাগায় খুব ভাল ফসল হয়েছে।আশা করছি এবারো ফসলের বাম্পার ফলন আসবে।আমার খুব শখছিল থাই জাতের পেয়ারা বাগান করবো চারা জন্য যশোর,সাতক্ষিরা গেলেও দাম অনুপাতে অর্থনৈতিক কারনে তা করতে পারিনাই তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাই তাহলে করবো। স্থানীয় যুবকেরা জানায়, আমরা লেখাপড়ার পাশাপশি সাংবাদিক সুজন ভাইয়ের জমিতে কাজে সাহয্য সহযোগিতা করি।তিনি খুব ভাল একজন মানুষ সবার সাথে মিশুক শ্রেনির মানুষ।আমরা দেখেছি সে কাজ কখনো ছোট মনে করে দেখেনা। কৃষি অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন আমরা আশা করি ভূট্টা ও গম থেকে সাংবাদিক সুজন মাহমুদ মোটা অংকের টাকার লাভবান হবেন।সাংবাদিক পেশায় থাকা একজন মানুষ কৃষিতে এত ভালো কিছু করবে এবং কৃষিকাজ করবেন এটা আমাদের খুব ভালো লেগেছে। তিনি জেলার একজন সফল কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা। কৃষি অফিসার আনোয়ারের মতো শিক্ষিত মানুষ কৃষিতে এলে কুষ্টিয়া জেলার কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।