শিরোনামঃ
বাউফলে গভীর রাতে ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি, নিরাপত্তাহীনতায় চাষিরা পোরশায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কুষ্টিয়া জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। চিরিরবন্দরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল-মনোরঞ্জন শীল গোপাল। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শার্শার বাগআঁচড়া দাঃ আঃ শিক্ষা সদনের স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বাগআঁচড়া ডাঃ আফিল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে ২৬শে মার্চের আলোচনা সভা দূয়া অনুষ্ঠিত। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাসীব আলম তালুকদার

দৌলতপুরের তেকালায় পুলিশের আগে অভিযোগ পত্র নিয়ে দালাল পৌঁছায় অভিযুক্তর বাড়িতে

ক্রাইম রিপোর্ট
  • আপডেটের সময়। রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

ক্রাইম প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পুলিশ ক্যাম্পে কোন অভিযোগ তদন্তের জন্য গেলে পুলিশ পৌঁছানোর আগে দালাল অভিযোগ হাতে নিয়ে অভিযুক্তর বাড়িতে পৌঁছায় এমন অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি অভিযোগ করেছে দৌলতপুর ধর্মদহ এলাকার স্কুল পাড়া গ্রামের শাহজাহান মিস্ত্রি।

অভিযোগ তুলে শাহজাহান মিস্ত্রি বলেন, আমার ছেলে সৌদি আরবে আছে। আমার ছেলের মাধ্যমে ধর্মদহ বাজার এলাকার রেজাউল আমার ছেলের মাধ্যম দিয়ে সৌদি আরবে যান। পরে তার বেতন কম হওয়াতে তার আত্মীয়র মাধ্যম দিয়ে সৌদি আরবে অন্য কোম্পানিতে চলে গিয়ে কাজ করছে। এমত অবস্থায় হঠাৎ রেজাউলের পরিবারের লোকজন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় গত ২৪ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ টি তদন্তের জন্য তেকালা পুলিশ ক্যাম্পে আসে। এরপর গত (২৫জানুয়ারী) ইং তারিখে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে শাহিন নামের এক ব্যক্তি এসে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমন সময় তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আলিমুজ্জামান পৌঁছায় আমার বাড়িতে। এক পর্যায়ে ৩৫ শত টাকা নিয়ে দুই জনে চলে যায়।

পরের দিন (২৬ জানুয়ারী) ইং তারিখে হঠাৎ শাহিন আবার কিছু লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হাজির হন এবং পূর্বের ন্যায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমি বাড়িতে না থানায় আমার স্ত্রী আমার প্রতিবেশী বাবুর স্ত্রীর কাছে থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়ে তাদের দিলে তারা চলে যায়। যাবার সময় শাহীন বলে যায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে ক্যাম্পে আসেন আপনাদের পক্ষে রায় হবে।

তার কথা মত (২৬ জানুয়ারী) ইং তারিখ সকালে স্থানীয় মন্ডল ইউনুস আলীকে নিয়ে ক্যাম্পে গেলে আইসি বলে আপনি একা আসবেন লোক সাথে নিয়ে এসেছেন কেন। কেন একা আসবো এমন বলাতে আইসি আলিমুজ্জামান বলেন সালিশ কি এমনে হবে মালমুল লাগবেনা। এদিকে রেজাউল পরিবারের লোকজনের দাবি রেজাউল বিদেশে কষ্টে আছে আমরা তাই অভিযোগ করেছি। পরে গত (২৮জানুয়ারী) ইং তারিখে শাহীনের সহযোগিতায় সালিশ বৈঠক বসে তেকালা পুলিশ ক্যাম্পে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, তেকালা পুলিশ ক্যাম্পে এই আইসি যোগদানের পরে আমরা মনে করি শাহীন ওসি আর আলিমুজ্জামান আইসি। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট। বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত।

এবিষয়ে শাহীনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভড করেন নাই।

শাহীনের টাকা নেওয়ার বিষয়ে তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই আলিমুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহীনের টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ অভিযোগ করে নি,আমি তদন্ত করে দেখবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর