কুষ্টিয়া শহরতলীর হাউজিং চাদাগাড়ার মাঠ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা রোকসানা খানম (৫২) এর রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ নভেম্বর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টার সময় হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ নাম্বার নিহতের নিজ বাড়ির দোতলায় তার রুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রোকসানা খানমের স্বামী যশোর এলজিইডি অফিসে চাকরি করেন। নিহত নিঃসন্তান হবার কারনে তার নিজের ৬ তলা বাড়ির দোতলায় তিনি একাই থাকতেন।
নিহত রোকসানা খানমের বোনের ছেলে সৈকত জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার সময় তার কাছে ফোন আসে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে আছে তার খালা রোকসানা খানম। সকাল থেকে বাইরে বের হয়নি তিনি। পরে ৪ তলায় থাকা নিহতের ভাইয়ের ছেলেরা এসে দরজা বন্ধ দেখে ৯৯৯ (ত্রিপল নাইনে) ফোন দিলে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ভিতরে যেয়ে দেখতে বলে। লোহার শাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রোকসানা খাতুনের লাশ পরে থাকতে দেখে এবং বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র এলোমেলো হয়ে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র্যাব,পুলিশ,ডিবি,পিবিআই সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করে।
নিহতের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি সকালে খবর পেয়ে যশোর থেকে এসে আমার স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখলাম। আমি এবং আমার স্ত্রীর সাথে কারও কোন শত্রুতা ছিলোনা।গতকাল রাত ৮ টায় আমার স্ত্রীর সাথে আমার শেষ বারের মত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ময়নাতদন্তের পর তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যাবস্থাগ্রহন করা হবে।