রুমন ইসলাম : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর শালদাহ গ্রামে মামুন নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে মাদকসেবী লতিফ বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়।
গত ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১.৩০ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে শালদহে চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরি রোধে এলাকাবাসি পালাক্রমে ছোট বড় সবাই মিলে কয়েক গ্রুপ করে পাহাড়া দেয়। পাহাড়া কালীন সময় একটি গ্রুপের সামনে রবিন(১৮), জিসান(২১), রাব্বি (২০) তিনজন ট্যাপেন্টা সেবন করছে।এমতাবস্থায় ঐ গ্রুপের সবাই মিলে তাদের তিনজন কে ধরে তাদের পিতামাতার হাতে বুঝিয়ে দেয়। তখন মামুন রাস্তার অন্য পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
এদিকে জমি জায়গা নিয়ে মামুনের সাথে লতিফের বেশ কিছুদিন আগে কথা কাটাকাটি হয় তখনো মামুন মারধর করেছিল। সেই জায়গা জমি নিয়ে সমস্যার জেড় ধরে মামুনের উপর লতিফের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে লতিফ বাহিনী ঝাপিয়ে পরে। লতিফ মামুনকে গলা চেপে ধরে শাস রোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। মামুন জ্ঞান হারিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে।মামুনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন। মামুনের মাথায় ৪ টি সেলাই ও শরীলের বিভিন্ন অংশে ক্ষত রয়েছে। প্রায় ৭ ঘন্টা মামুন অচেতন অবস্থায় ছিল। মামুনের চাচাতো ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়ায় মডেল থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের মৃত পান্না বিশ্বাসের ছেলে মামুন (২২), সহ ১০/১২ জন মিলে চোর ধরতে গ্রাম পাহারা দিচ্ছিলো। মামুন, আঃ লতিফ কে আগামীকাল (৯ অক্টোবর) রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য বললে, সে ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি আচারণ করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ৯ অক্টোবর ২০২২ রাত আনুমানিক দেড় টার সময় কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন শালদহ গ্রামস্থ জনৈক সাচ্চু দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার পাশে মামুন সহ ৩/৪ জন বসে থাকা অবস্থায় লতিফ তার লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। তারা দেশীয় তৈরী রাম দা, হাত কুড়াল, হাসুয়া, লোহার শাবল, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে একই উদ্দেশ্যে অবৈধ ভাবে সংবদ্ধ হইয়া মামুন কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। লতিফ (৪০) এর নির্দেশে আঃ রশিদ (৫২) ও সাব্বির হোসেন (২০) তাদের হাতে থাকা হাত কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মামুন (২২) এর মাথার ডান পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত ও জখম করে। এ সময় আঃ লতিফ, মামুন (২২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সেই সময় মামুন মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, কাঠের বাটাম ইত্যাদি দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করে সারা শরীরে কালশিরা জখম করে। এ সময় রবিন (১৯) মামুনের পকেটে থাকা নগদ ১ হাজার ৫ শত টাকা চুরি করে নিয়ে নেয়।
এবিষয়ে লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।