মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয়ঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্নে উদ্যাপন করতে পারে সে জন্য কুষ্টিয়ায় র্যাব -১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দৌলতপুর,ভেড়ামারা,মিরপুর,কুষ্টিয়া সদর, ইবি,কুমারখালী ও খোকসা মোট ৬ টি উপজেলায় বিভিন্ন পূজামন্ডপের নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২’র কুষ্টিয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারী এবং সার্বক্ষনিক টহলের মাধ্যমে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ও সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
রঙ তুলি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করার সময় থেকে পূজা শুরু হওয়ার মূহুর্ত পর্যন্ত র্যাবের গোয়েন্দা টিম , টহল টিম ও সহ সকল ফোর্স রাতদিন পরিশ্রমের মাধ্যমে আইনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জ্জনের সময়েও নদী এলাকায় বিশেষ ভুমিকায় ছিলেন র্যাব বাহিনী।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। পূজায় কোন পরকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোন প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি না হয় এজন্য কুষ্টিয়ার র্যাব সম সময় করা নজর দারির মধ্যে সময় অতিবাহিত করেছে। পূজা বিসর্জ্জন দেওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত টহল এবং নজরদারি অব্যাহত থাকবে।