ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ হলে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এটি ককটেল বিষ্ফোরণ বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের আন্তর্জাতিক চতুর্থ ব্লক ও লালল শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেষে পৃথক জায়গায় পরপর ছয়টি বিস্ফোরণ হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে লাঠি, হকস্টিক, স্ট্যাম্প, ব্যাটসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সবাইকে নিজ নিজ হলে ফিরে যেতে বলেন।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমরা ধারণা করছি, এটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কাজ। এটা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় আছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডিকে বার বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। হয়তো তারা ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছে আর তারা কিভাবে ঘুমাচ্ছে তা আমাদের বুঝে আসে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসময় তো সবাই ঘুমিয়ে থাকে তাই ফোন রিসিভ করা সম্ভব হয়নি। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। আমি ইবি থানাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। তারা রিপোর্ট দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
ইবি থানার ওসি বিপ্লব বলেন, একটু আগে প্রক্টর আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে আমরা ঘটনাস্থলে যাবো।