মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয়ঃ কুষ্টিয়া কুমারখালীর উদয় নাতুড়িয়া এলাকায় ধর্ষণের সময় সীমা ১ মাস ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণের মূলহোতা শাজাহান সহ তার সহকর্মীদের গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে কুমারখালী থানা পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ কুমারখালির বাগুলাট ইউনিয়নের উদয় নাতুরিয়া গ্রামের জালাল মিলিটারির ছেলে শাজাহান আলীর নেতৃত্বে উদয়নাতুরিয়া গ্রামের ন্যাংটা পীর সাহেবের মাজার প্রাঙ্গণে ২ সন্তানের জননী ছদ্মনাম ( নাসিমা) কে একাধিকবার জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছেন শাজাহান সহ পোষিত তার সহকর্মীরা। পরেরদিন ধর্ষণের শিকার ছদ্দনাম নাসিমা কুমারখালি থানায় একটি এজাহার দায়ের একজনের নাম সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে এজাহার দায়ের করেন। এ ঘটনায় কুমারখালি থানা পুলিশ দুই জন কে আটক করলেও মুল হোতা শাজাহান সহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নি। এদিকে বাকি আসামিরা বীরদাপটে ঘুরে বেরালেও কুমারখালি থানা পুলিশ তাদের কে গ্রেফতার করতে অক্ষম। ধর্ষণের কোন বিচার না পেয়ে পুলিশ সহ সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী ছদ্মনাম (নাসিমা)।
ভুক্তভোগী ছদ্মনাম( নাসিমার ) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উদয়নাতুরিয়া গ্রামের শাজাহান সহ তার সহকর্মীরা আমাকে ধর্ষণ করেও কাউকে তোয়াক্কা না করে বীরদাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শাজাহানের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাকে সহ তার সহকর্মীদের গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে। বর্তমানে উদয়নাতুরিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তারা বলছেন ধর্ষণের মূল হোতা শাজাহানের পিতা জালাল
মিলিটারি প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তাদেরকে এত সহজে গ্রেফতার করতে পারবেনা পুলিশ।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদারের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,ঘটনার পরের দিনই ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। তারপর আরও ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।