বড়ো লজ্জা হয় যখন দেখি সুদখোর, মদখোর,গাঁজাখোর, দালাল,জুয়াড়ি, অশিক্ষিত লোকজন গ্রামগঞ্জে বিচার করে। তারা মেম্বার, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান হয়।সমাজের লোকজন আবার এদের পছন্দ করে।পছন্দ না করে উপায় নাই তো কারণ টাকার প্রয়োজন হলে সুদের উপরে নিতে পারে। সুদের টাকা ঠিকঠাক মতো দিতে না পারলে এক প্রকার আপনার মেধাকে সে নিজের করে নেয়। এখন বলতে পারেন মেধা আমার কিভাবে নিতে পারে। যখন আপনি তার দেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে পারবেনা ঠিক তখনেই শুরু করবে ব্লাকমেইল করা।একটা বিষয় কি চিন্তা করেছেন, গ্রাম গঞ্জে যে বিচার হয় সেই বিচারের বিচারক কারা থাকেন।ভ্যান চালক, মদখোর, জুয়াড়ী,সুদখোর, অশিক্ষিত ইত্যাদি ইত্যাদি। এদের কাছে আপনি কি বিচার আশা করেন।এদের কাছ থেকে আপনি কি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এইতো কিছুদিন আগে এক জুয়ারু মেম্বার জুয়া খেলা অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। তারপরে এলাকায় এসে বলে, আমি চক্রান্তের শিকার। জুয়া খেললো কে?ধরা পড়লো কে? এখন বলে চক্রান্তের শিকার।তার পক্ষে আবার কিছু লোকজন সাড়াও দেয়। আজিব সব কান্ড কারখানা। মসজিদের ইমাম নির্বাচন করা হয় সুদখোর দিয়ে। তিনি আবার হুজুরের পরীক্ষা নেন,তিনি বলেন হুজুর বলেন তো বিয়া পড়িয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ?
কি আর বলবো বড়োই লজ্জা হয় এই সমাজের কাজকর্ম দেখে।
সেদিন এক চেয়ারম্যান এক লোককে বলতেছে জীবনে যতো মেয়ের সাথে পার্কে ঘুরছি তা তুই কল্পনাই করতে পারবি না।আবার সেই চেয়ারম্যান দিচ্ছে চারিএিক সার্টিফিকেট।
সেদিন আবার এক ভাইস চেয়ারম্যানকে দেখলাম বলতেছে, ম আর হ দিয়ে নাম লিখেও আমি ভাইস চেয়ারম্যান। মানে কি বলবো আজিব সব কারবার।এতো কথা বলে কি লাভ দেশের জনগণকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে সুদখোর, মদখোর, জুয়াড়ি, গাঁজাখোর, চুঙ্গীখোর এরাই সমাজের বিচারেক হবে।
[এদের কারণে সমাজে শিক্ষিত ও গুনি মানুষের মূল্যায়ন হয় না।]
আচ্ছা একবার কি ভেবে দেখেছেন,
কারা হবে বিচারক?
কে করবে বিচার?
কে দিবে রায়?
একটু চিন্তা করে দেখবেন অনুরোধ।
বিঃদ্রঃ আপনি গরীব সমস্যা নাই তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা হওয়া কি দরকার?