জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকারে আসার সক্ষমতা বিএনপির নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, তাই তাদের লক্ষ্য একটাই দেশকে যেকোনো মূল্যে অস্থিতিশীল করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করেছে। এখনো তাদের ষড়যন্ত্র আছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টায় কক্সবাজারের উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
দেশে আন্দোলনের নামে কেউ সহিংসতা, নাশকতা করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজককতা সৃষ্টি করতে চায়। কারণ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে তারা দেশের জন্য কিছুই করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে বিএনপি বুঝতে পারছে দেশের আরো উন্নয়ন হলে জনগণ তাদের দিকে মুখে তুলে তাকাবে না।
বিএনপি নেতাদের মাঝে দেশপ্রেম আছে কি-না এমন শঙ্কা প্রকাশ করে হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা দেশ গেলো গেলো প্রচারণা করছেন। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশও শ্রীলংকা হবে, কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।দেশ রসাতলে গেলেও তারা শেখ হাসিনা সরকারের পতন চান। কারণ দেশ রসাতলে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। এই তাদের দেশপ্রেম!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব দাবি করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আর দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এ দু’টি অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে। এ দুই বিষয়ে দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নেই এবং কৃতিত্ব দাবি করারও সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, মহামারি করোনার দুই বছর সারা পৃথিবীতে সংকট সৃষ্টি হয়েছিলো। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানিসহ উন্নত দেশগুলোতে চরম বিপর্যয় ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ ভয়াবহ দুর্যোগে পড়েনি। তিনি জীবন জীবিকার সমন্বয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। আমেরিকা স্যাংশন দেয়ায় সংকট আরো বাড়ছে। জার্মানির মতো দেশ শঙ্কায় পড়ে গেছে। সেখানে রেশনিং করা হচ্ছে। ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা আছে। দুই মাস লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় কমিয়ে সামনের দিনের বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জনশুমারিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটির মতো। দেশের হিন্দু সম্প্রদায় আগের থেকে কমে গেছে। এ খবরে দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।