মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে বালুর ঘাটে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে শত শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে ফিলিং বালু কাটার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই সাথে রাতে ড্রাম ট্রাকের ঝন ঝন শব্দে ঘুম হারাম এলাকাবাসীর। তার সাথে নতুন রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় কারণ তো আছেই। এই সকল বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বালি কাটা বন্ধের জন্য গণস্বাক্ষর করেছে এলাকাবাসীরা। সুত্রে জানা যায়, এর আগে অবৈধভাবে ফিলিং বালু কাটার কারনে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের নির্বাহী অফিসাররা যৌথ ভাবে দুই বার অভিযান পরিচালনা করেন।
এ যেনো চোর পুলিশের খেলা। তারা চলে গেলেই আবার শুরু করে বালিকাটা। স্থানীদের কাছে ক্ষমতা দেখিয়ে বালুখেকোরা বলে যে আমাদের পুলিশ প্রশাসন কেনা, তাদের ভাগ দিয়েই আমরা চালাচ্ছি। এতে হুমকীতে পরেছে এলাকাবাসীরা। তাই এলাকার সবাই একত্রিত হয়ে গণস্বাক্ষর করে করেন তাদের বিরুদ্ধে। আশেপাশের ৫ গ্রামের নতুন রাস্তা চলাচল অযোগ্য, ড্রাম ট্রাকের শব্দে মানুষের ঘুম হারাম, বাধা দিলেই নির্যাতন। অবৈধ ভাবে রাতের আঁধারে শত শত ট্রাক ফিলিং বালু কাটা হয়। তালবাড়ীয়া বালুর ঘাটে এলাকার চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালীর নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে শত শত ট্রাক বালু কেটে ড্রাম ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে, ফলে ঐ এলাকার সমস্ত নতুন রাস্তা ড্রামট্রাক চলার উপযোগী না হওয়ার কারণে রাস্তায় বড়, বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে, তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ঐ ফিলিং বালুরঘাটের সরকারি ভাবে কোনো ইজারা না থাকায় এলাকার চিহ্নিত বালুখেকো একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাতের আঁধারে অবৈধভাবে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসি জানান গত ৩ মাস আগে এলাকার রাস্তা গুলো নতুন তৈরি করা হয়, ড্রাম ট্রাক চলার কারনে একদিকে রাস্তা দিয়ে সুস্থ মানুষই যাতায়াত করতে পারেনা, একজন অসুস্থ রোগী রাস্তার কারনে চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়ার উপক্রম তাছাড়া সারা রাত ট্রাকের শব্দের কারনে বৃদ্ধসহ শিশুরা কেউই ঘুমাতে না পারায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে কেউ কোন কথা বললে তার উপর বালুখেকোদের পোষ্য পেটুয়া বাহিনীর দুলাল, ছবেদ ও মিজানের আক্রমনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে অথবা পুলিশি হয়রানীর স্বীকার হতে হয় বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এলাকার প্রভাবশালী সোহান, সাব্বির, রানা, পান্টু, সরওয়ার, সাইদুল, পটল মন্ডল, দুলাল, আজাদ মালিথা, মন্টু মালিথা, ছবেদ, শামিম ও মিজান সহ আরো অনেকে এই অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জানান এলাকাবাসীরা। তাই এলাকাবাসীরা দ্রæত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।