শিরোনামঃ
ঝিকরগাছায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের বিদায় ও মরনোত্তর গুনিজন সংবর্ধনা শার্শার গোগায় ১৩টি সোনার বিস্কুটসহ পাচারকারী আটক। কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিতসভা ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন। দৌলতপুরের লালনগরে অগ্নিকাণ্ড একটি পরিবার নিঃস্ব শার্শার বাগআঁচড়া ইউঃ মাঃবিঃয়ের স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। খানসামায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অবশেষে এমপির পক্ষের কর্মসূচি প্রত্যাহার, চেয়ারম্যান পক্ষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত দিনাজপুর রংপুর মহাসড়কে অযান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধে দশমাইল হাইওয়ে পুলিশের অভিযান। শার্শা বাগআঁচড়া সাতমাইল সরঃপ্রাথঃবিঃয়ের স্কুল মিল প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত। রাজিবপুরে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে সওয়াবের এক হাজার ইফতার সামগ্রী বিতরণ।

হরিপুরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য পদ্মা গড়াই মোহনার রাস্তার বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেটের সময়। রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষে বয়ে চলেছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। পদ্মা নদী থেকে প্রকৃতিগত ভাবেই সৃষ্টি হয়েছে গড়াই নদী। পদ্মা নদী হতে গড়াই নদীর উৎপত্তিস্থল কে মোহনা বলা হয়। যেটা বর্তমানে সাগরকন্যা গরীবের কক্সবাজার নামে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। যান্ত্রিকতার কোলাহল থেকে কিছুটা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকন করার এক অপরুপ সৌন্দর্য ঘেরা পদ্মা-গড়াই মোহনা। পদ্মা নদীর পানির কলকল শব্দ, কাশবনের মাথায় একগুচ্ছ সাদা ফুল বাতাসে দোলায়, ঘন সবুজে ঘেরা কাশবন। দূরের নীল আকাশটা স্বচ্ছ মেঘের ভেলা আর পদ্মা নদীর রুপালি ইলিশ ধরতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মাঝ বয়সী জেলে। জেলের সারা শরীর ঘেঁমে সোনালি রোদে ঝলমল করার অপরুপ দৃশ্য শুধুই নয়ন ভোলায় না বরং মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখতে ভীড় জমায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে শত শত দর্শনার্থীরা। কিন্তুু পদ্মা গড়াই মোহনায় চলাচলের রাস্তা ঝুকিপূর্ন হওয়ায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যায়, পদ্মা গড়াই মোহনায় যাওয়ার রাস্তা ও প্রবেশ মুখে বৃষ্টির পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি করেছে। নদীর কোল ঘেষে সরু রাস্তা আর যানবাহন বা মোটর সাইকেল চলাচলের জন্য রাস্তা না থাকায় জনদুর্ভোগটা মরার উপর খাড়ার ঘা পরিণত হয়েছে। গাড়ি বা ছোট যানবাহন চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। অনেকটাই ঝুকি নিয়ে চলতে হয় দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের। বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো দূর্ঘটনা দেখা দেয়। পদ্মা গড়াই মোহনার আশেপাশের মোহনাকে ঘিরে ছোট ছোট দোকান গড়ে উঠেছে। যাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র শেষ সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দোকান গুলো। কয়েকজন দোকানদার বলেন, আমাদের এই দোকানের উপর নির্ভর করে সংসার চলে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চলে। দর্শনার্থীরা এখানে বেড়াতে না আসলে আমাদের জীবন জীবিকা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। বেড়াতে আসা একজন কিশোর মোঃ ফেরদৌস ওয়াহেদ নিলয় জানান, পরিবারের সকলকে নিয়ে বিশেষ দিন বা অবসর সময়ে প্রায়ই পদ্মা গড়াই মোহনায় বেড়াতে আসি। প্রকৃতির এমন অপরুপ সৌন্দর্য আমার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু চলাচলের রাস্তার বেহাল দশায় ঘুরতে আসা সমস্যা হয়। স্হানীয় বাসিন্দা ও হরিপুরের সুশীল সমাজের দাবী যত দ্রুত সম্ভব পদ্মা গড়াই মোহনায় চলাচলের রাস্তা সংস্করণের উদ্দ্যেগ নেওয়ার মাধ্যমে হরিপুরের দর্শনীয় স্হান রক্ষা করা হোক।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর