সর্বশেষ মোস্তাক-তুফানের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের ৯জুন। প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও কমিটি দেয়া হয়নি। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি এখন এই অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকলেও খুব শিগগিরই আসছে মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। নতুন কমিটিতে কারা আসছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। নতুন কমিটিতে আসলাম উদ্দনের নামও শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আসলাম উদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, যোগ্যতার ঘাটতি থাকলেও আওয়ামী লীগের এক নেতার আর্শীবাদই এখন তার বড় পুঁজি। তিনি ‘আসলাম উদ্দিন’র জায়গায় ঐ নেতার নামও লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নানা দেনদরবারও শুরু করছেন তিনি। পদ-পদবী পেতে ওপর মহলেও এই ছাত্রলীগ নেতার গড়ে ওঠা ‘সিন্ডিকেটও রয়েছে। এতে প্রতিমুহূর্তে পদ পেতে তদবির নিয়েই তিনি ব্যস্ত বলে তারা জানান।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে হলে প্রথম শর্ত অবিবাহিত, ছাত্রত্ব এবং বয়সের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। অবিবাহিত, বয়স ও ছাত্রত্ব ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রেও পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আসলাম উদ্দিনের ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসতে পারবেন বলে মনে হয় না। কারণ তিনি বিবাহিত। কিছুদিন আগে তিনি বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলায় “বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তবে বিয়ের বিষয়টি তিনি স্বীকার করছেন না। এমনকি তার শশুর বাড়ির লোকজনকে কমিটি না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে সুত্র জানায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীরা বলছে, এই উপজেলায় কোনো বিবাহিত ব্যক্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হবে এটা আমরা মেনে নিব না। ত্যাগী, যোগ্য নেতৃত্ব চাই এই উপজেলায়। কারও পকেট কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হবে না। কোন সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। আর যদি এমনটি হয় তাহলে এর ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার দেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে আসলাম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে অথেনটিক কোন প্রমাণ এখনও পাইনি। যদি আপনাদেও মাধ্যমে এমন কোন প্রমাণ ঊঠে আসে তাহলে বিবাহিত একজন ব্যক্তি কোনোভাবেই ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাবে না।