শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ সৌদি’তে সড়ক দূর্ঘটনা নি’হত সবুজের বাড়িতে : স্বজনদের আহাজারি খানসামায় মধ্যে রাতে আগুন লেগে গরু,ছাগল ও হাঁস-মুরগি পুড়ে ছাঁই দৌলতপুরে জমি কিনে প্রতারণা স্বীকার প্রতিবন্ধী পরিবার ঝিকরগাছায় ইভটিজিংয়ের আত্মহত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্ত সইতে না পেরে স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা। বাউফলের ছেলে সোহান;শ্বশুরের বাসায় ঘুরতে গিয়ে খুন,আটক-৪ আন্তঃজেলা গরু চোরচক্রের মূল হোতা পুড়াপাড়ার রনি কারাগারে কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলের কর্মসুচি সফল করার লক্ষে এক প্রস্তুতি সভা চাকুরির মেয়াদ নেই;তবুও অধ্যক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও অপরজনের ১০ বছরের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেটের সময়। সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২

জুবায়ের আহমেদঃ কুষ্টিয়ায় দেশীয় তৈরীর এলজি (বন্দুক), ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি ককটেল বোমা রাখার অপরাধে তাজুব্বর মালিথা নামে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ডের এবং আরেক জনকে বড় ভাবীকে হত্যার দায়ে শুকুর আলী নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও সে সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এই পৃথক দুটি মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায় প্রদান শেষে কড়া নিরাপত্তায় আসামীদেরকে জেলাকারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব আমদামী ঘাট এলাকার মৃত সাহাজ উদ্দিন শেখের ছেলে শুকুর আলী এবং অস্ত্র মামলার আসামী হচ্ছেন মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া বাজারপাড়া গ্রামের আকবার মালিথার ছেলে তাজুব্বর মালিথা।
আদালত সূত্রে জানা যায় ২০১৩ সালের মার্চের ২০ তারিখে আসামী শুকুর আলী পানি না নিয়ে বাথরুমে যান। পরে আসামীর মেয়ে বিথী (৭) এর কাছে বাথরুমে এসে পানি দিতে বললে তার মেয়ে পানি না দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বদনায় করে বাথরুমে পানি না দেওয়ার কারণে মেয়েকে গালিগালাজ করতে থাকে। আসামীর বড় ভাবী রওশনা তার মেয়েকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠানে থাকা কোদালের ধারালো পাশের উল্টা পিঠ দিয়ে আসামীর বড় ভাবী রওশনা কে মাথার পিছনে আঘাত করিলে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন এবং ঘটনাস্থলে মারা যান। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একদিন পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে ২০১৩ সালের অক্টোবর ০২ তারিখে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন এবং সাক্ষীপ্রদান শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

অপর দিকে, ২০১২ সালের জুনের ১৬ তারিখে মিরপুর থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গিয়াস উদ্দিন পিস্তলের বাড়ীর উত্তর পাশে আম কাঠালের বাগানের মধ্যে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার জন্য অস্ত্রগুলি ও বোমাসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে কয়েকজন লোক দৌড়াইয়া পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সহায়তা তাদের পিছু ধাওয়া করে তাজুব্বর মাথিলার দেহ তল্লাশী করে একটি দেশীয় অস্ত্র এলজি বন্ধুক এবং কোমরে গোজানো অবস্থায় তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে মিরপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র আইনের মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষনা করেন।

 

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর