আমিন হাসানঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও কুষ্টিয়া এনএস রোডে বসবে ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসব। কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা বিদ্যালয় হতে রক্সী গলী মোড় পর্যন্ত এই রথ উৎসব মেলা বসে প্রতিবছর। এবারেও তার ভিন্ন নয়। সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে মেলার সকল দোকানগুলো রাস্তার সারি ধরে জমজমাট পূর্ন ভাবে সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। কিন্ত এই সুযোগে ইজারার কথা বলে প্রতি দোকান থেকে মোটা টাকা চাঁদা তুলছে কিছু লোকজন প্রতি দোকান থেকে মোটা অংকের এই চাঁদা তুলছে ফুটপাথ ও অস্থায়ী দোকানদারেরা অভিযোগ জানিয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে জানতে সরেজমিনে হাজির হন এম টি এন নিউজ টোয়েন্টিফোর।
একজন খেলনা বিক্রেতা বলেন,আমার কাছে ইজারার কথা বলে ২৫০ টাকা নিয়েছে। সেই সাথে আমার আশেপাশের দোকানদারদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। এছাড়াও জিলিপী বিক্রেতা শাহিন, সরবত বিক্রেতা রজব আলী, দাঁ কুড়াল কাঁচি বটি বিক্রেতা সিকান্দার, পান সিগারেট বিক্রেতা রতন প্রামাণিক ও আরেক খেলনা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন এরা সবাই এই বিষয়ে মুখ খোলেন। এদের সবার কাছ থেকেই ইজারার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়েছে।
সুত্রে আরও জানা যায়,এই টাকা তোলা হচ্ছে সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত । এই হিসেবে আলাদা করে কোন ইজারা দেয়া হয়নি বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে পৌরসভার কোন নির্দেশনাও নেই বলেও জানান তারা।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রবিউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রথ উৎসব মেলার জন্য কোন প্রকার ইজারা দেয়া হয়নি, যদি কেউ এমন টাকা তুলে থাকে তবে সেটা বেআইনী। এখানে এমন কোন কিছু করার কোন সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে সকল দোকানদারদের সচেতন করতে স্থানীয়রা বলেন, যেহেতু এই রথ উৎসব মেলার কোন ইজারা নেই সেই সাথে ফুটপাতের দোকান থেকে ইজারার নামে চাঁদা তোলা হয় এগুলো সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে নেয়া হচ্ছে। সুতরাং এখন থেকে কেউ চাঁদা নিতে আসলে সবাই মিলে প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বির আলমকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।