মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয়ঃ দেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালাে ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্ট আমালাে ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গােলাবারুদ উদ্ধার , চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের হরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের মনে আস্থা অর্জন করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ৩১ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় কষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জেল হােসেন (৫২) নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে কুষ্টিয়া শহরের দিকে ফেরার সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বংশীতলা এলাকায় ” আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন সন্ত্রাসী ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কপিয়ে তাকে মারাক্তকভাবে জখম করে। সন্ত্রাসীদের ধারালো কোপের আঘাতে তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাতের কজি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা নিয়ে বিরােধের জের ধরে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে আহত তােফাজ্জেল হােসেনের ছেলে নাজমুছ সাকিব বাদী হয়ে পরদিন ১ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩, তারিখ-০১/০৬/২০২২,ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬া! ৩০৭/৩৭৯/১১৪ পেনাল কোড।
প্রকাশ্য দিবালােকে একজন কলেজ শিক্ষকের কজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনাটি দেশের বহুল প্রচারিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডয়ায় প্রচারিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে র্যাব-১২ সদর দপ্তর গােয়েন্দা শাখার সম্মিলিত অভিযানে ৩ জুন রাতে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলারএজাহার নামীয় আসামী
কুমারখালী থানাধীন শালঘর মধুয়া এলাকার
সলেমান ওরফে সলের ছেলে মশারফ হােসেন মশা(২৬),একই এলাকার মৃত মােকাদ্দেস হােসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭), আব্দুল খালেকের ছেলে সামাদ (২৭),আইয়ুব আলীর ছেলে মুহাইমেন হােসেন (২৭),সামেদ আলীর ছেলে
হালিম (৪০),আব্দুল খালেকের ছেলে পলাশ (২৩),
এবং গােপাল শেখের ছেলে মুকুল (৪২),কে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারের সময় আসামী পলাশের নিকট হতে ৩ রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিন সহ ১টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মশারফ, সামাদ ও পলাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।স্থানীয় জনগণে অনেকেই গ্রেফতারকৃত মশারফ, সামাদ ও পলাশকে সরাসরি হামলায় অংশগ্রহন করতে দেখেছে এবং আটককৃত বাকি ৪ জন তাদেরকে এই কাজে সহযােগিতা করেছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এবিষয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান বলেন,
এ ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান সচল রেখে সন্ত্রাস মুক্ত সােনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর। র্যাব-১২. সিপিসি-১, কুষ্টিয়াকে তথ্য দিন। মাদক, অস্ত্র ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।