সম্পর্ক অনেক মূল্যবান সম্পদ। এটির পরিচর্যা জরুরি। এটা নিয়মিত দেখভাল নায়া করলে এবং দ্বিপাক্ষিত ভাবনা স্পষ্টরুপে বুঝতে না পারলে, টিকে থাকবে না। কেউ সম্পর্ক করে স্বার্থে, কেউ বিনা স্বার্থে। বিনা স্বার্থের সম্পর্কে ধরে রাখতে গেলেও সম্পর্ককারীদের বিপরীতের মানুষটিকে জানা, বোঝা, ভালো লাগাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ গুরুত্ব সহকারে।
উদাহরণঃ প্রাকৃতিকভাবে জন্মসূত্রে/বৈবাহিক সূত্রে, বন্ধুত্ব/সহকর্মী হওয়ার প্রেক্ষিতে যে সম্পর্কগুলো
স্বার্থের সম্পর্কে, চাওয়া পাওয়ার পাশপাশি দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হতে হবে। দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রটি অর্থনৈতিক কিংবা কাজ সম্পর্কিত হোক কম বেশি হলে চলবে না। সমান থাকলে সম্পর্ক টিকার সম্ভবনা বেশি।
উদাহরণঃ কৃত্তিমভাবে হটাত পরিচয়ের প্রেক্ষিতে, গুরু-শিষ্য, নেতা-কর্মী, মালিক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী-ভোক্তা ইত্যাদি নানা রকমের হতে পারে ক্ষেত্র ও পরিস্থিতিতে।
গাছ যেমন পরিচর্যা না করলে বৃদ্ধি হয়না, ফল দেয়না, তেমনি সম্পর্কের পরিচর্যা না করলেও কাজ হয়না। তখন স্বার্থের বিষয়টি পছন্দ/অপছন্দের সাথে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে টেকা বা ভাঙ্গা নির্ভর করে।
নিয়মিত যেকোনো সম্পর্ক পরিচর্যা করলে যেকোনো বিপদ আপদে কিংবা সুখে দুখে পাশে মানুষ পাওয়া যায়। সামর্থ্য কিংবা ক্ষমতার ভিত্তিতে উপকার লাভ করা যায়। বিনিময়ে সেও তার দূর্দিনে একই প্রত্যাশা।
সম্পর্ক ভাঙ্গলে বা খারাপ হলেও ধৈর্য্য, বিনয় ও আদবের সাথে সেটি সম্পূরক ভালোবাসা বা প্রেম দিয়ে সেটিকে পুনরায় সংস্থাপন করা যেতে পারে। কিন্তু একই জিনিস স্বার্থের দাড়িপাল্লায় হেরফের হয়ে গেলে তা বিচ্ছিন্নই উত্তম বলে বিবেচিত অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
যখনই আমরা অনুভব করি একটি সম্পর্কের বিচ্ছেদ কিংবা দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা কিংবা বিপদজ্জনক পরিস্থিতি আসন্ন আমাদের উচিৎ সম্পর্কের গোড়া থেকে পর্যালোচনা করা, তা বিশ্লেষণ করা এবং একক বুদ্ধিমত্তায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। ফলাফল যাই হোক।
অনেক সময় আমরা সম্পর্কের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে অপর কারো সাহায্য নেই, কিন্তু যে মানুষটির সম্পর্কের ব্যক্তি কিংবা বিষয় অথবা গভীরতা সম্বন্ধে ধারণা নেই, তার পরামর্শ গ্রহণ করা বোকামি হবে।
এই পৃথিবীতে একদিন আমরা কেউ থাকবো না। কিন্তু এই সম্পর্কগুলো থেকে যাবে। যাদের সাথে সম্পর্ক থাকে তারা আমাদের শুন্যতা অনুভব করবে। খুব ভালো থাকলে আপনার মাগফেরাত ও নাজাতের জন্য দোয়া করবে৷ জীবিত থাকলে হেদায়েত কামনা করবে।
একটি মানুষর দিকে হাসিমুখে তাকানো কিংবা তার বিপদে তার দুশ্চিন্তা প্রশমন করাও একটি বড় ইবাদত বলে গণ্য। সেখানে উপকার করলে আরো সওয়াব হয়। অথচ কারণে অকারণে আমরা অযত্নে, অবহেলায়, গুরুত্বহীনতায় সম্পর্ক নষ্ট করে একে অপরকে দুঃখ দি। কিছু ক্ষেত্রে উচিৎ কিংবা উত্তম নিয়তে অনুচিত। মহান আল্লাহ তাআলা সবার অন্তর সম্পর্কে ভালো জানেন।
যদি একটা মানুষ হত্যা পবিত্র কোরআনে সকল মানব হত্যার সমান হয়ে থাকে। তাহলে মহান আল্লাহর সৃষ্টি যেকোনো বান্দার মনে দুঃখ দেওয়াও বড় অপরাধ গণ্য হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। তাই আমাদের পরিচিত অপরিচিত পুরোনো বা নতুন সম্পর্কে আসুব গুরুত্ব দেই, চেষ্টা করি এর মাধ্যমে কল্যাণ খুজে ফেরার
অ্যাডভোকেট এম.এম.আর. (পলল)। গবেষক ও সংগঠক।
সহ সম্পাদক, দৈনিক কুষ্টিয়া।
আইন সম্পাদক, নতুন টাইমস।
(পাগল প্রলাপ – অসমাপ্ত ভাবনার বিক্ষিপ্ত গল্পগুচ্ছ)