মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় : কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন উজানগ্রাম ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের আমিরুলের ছেলে শুভ ইসলাম(১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় কলেজ শিক্ষার্থী শুভ। সম্ভাব্য জায়গায় খোজাখুজির পর পরিবারের সদস্যরা খুজে না পেয়ে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তারপর নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টার সময় উজানগ্রাম ইউনিয়নের বারইপাড়া মৌচার পুকুর নামক স্থানের ভুট্টোর ক্ষেত থেকে কলেজ শিক্ষার্থী শুভোর রক্তাক্ত অবস্থার মরদেহ উদ্ধার করে ইবি থানা পুলিশ। পরে নিহত শুভোর বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানায় অজ্ঞাত নামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির উপর তদন্তভারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখনো মূল ঘটনা উদঘাটন ও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । কলেজ শিক্ষার্থী শুভোর লাশ উদ্ধার হওয়ার পর তার বাবা আমিরুল সাংবাদিকদের এক ভিডিও সাক্ষাতকারের সময় জানান, বারইপাড়া এলাকার মৃত অমূল্য বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস (২২) নামে যুবকের সাথে শুভোর বন্ধুত্ব ছিলো। সব সময় শুভ ও বিপ্লব এক সাথেই থাকতো। শুভ নিখোজ হবার পর থেকে শুভোর বাবা আমিরুল বিপ্লবকে সাথে নিয়ে অনেক জায়গায় খোজাখুজি করেছেন। পরে আমিরুল বিপ্লবকে অনুরোধ করে কান্না কাটি করলে বিপ্লব আমিরুলকে বলে আপনার ছেলে আপনার সাথে এক বছরের ভিতরে দেখাও করবেনা কথাও বলবেনা। এরই মধ্যে বারইপাড়া ঈদগাহ মাঠে এক জায়গায় রক্ত পরে থাকতে দেখে আমিরুল শুভোর বন্ধু বিপ্লব ও মিঠনকে ডেকে নিয়ে এসে রক্তাক্ত জায়গায় গিয়ে দেখিয়েছে। সেই সময়ও নিখোজ শুভোর মোবাইল ফোন খোলা ছিলো এবং ফোনে রিং হচ্ছিলো। শুভোর বাবা ফোনে রিং দিতে দিতেই ঈদগাহ মাঠে বিপ্লব ও মিঠনকে নিয়ে যায় কিন্তু ফোন রিং রিসিভ হয়না। পরে শুভোর বাবা আমিরুল বিপ্লব ও মিঠনকে বলে আমি আজ চারদিন ধরে আমার ছেলের মোবাইলে রিং করছি কেউ রিসিভ করেনা, আমি ম্যাসেজ দিচ্ছি ম্যাসেজ পরে কিন্তু কোন উত্তর দেয়না। এ কথা বলার কিছুক্ষন পরেই শুভোর মোবাইলটা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে হত্যা মামলাটি নিয়ে ধ্রুম্যজাল চলছে। আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে একটি পক্ষের সাধারন মানুষদের ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি কুচক্রি মহল। এক কথায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে। এলাকার সাধারন মানুষ ধারনা করছেন বিপ্লব ও মিঠনকে সিআইডির হেফাজতে নিয়ে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল বিষয়টি উদঘাটন হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এবিষয়ে কুষ্টিয়া সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক হারুনুর রশিদ জানান, মামলা এখনো আমরা হাতে পায়নি। মামলার বাদী না রাজি দেওয়াতে সিআইডির উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা মামলার ডকেট চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি।