সাইফুল ইসলাম (দৌলতপুর প্রতিনিধি) ।।চোরাচালানি ও মাদক ব্যবসার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে চলেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাবাসী। স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট সরওয়ার জাহান বাদশাহর কৌশলে সামাজিক রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তি বিরাজ করছে। এখানকার সরকারি অফিসেও স্বচ্ছতা ফিরে আসছে। সংসদ অধিবেশন ও নানা কারণে দৌলতপুরের বাইরে অবস্থান করতে হলে সেই শূন্যতাকালে সরকারি কাজে গতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি সেখানে স্থানীয় প্রতিনিধি দিয়েছেন।
উন্নয়নকাজ গতিশীল করতে প্রতিনিধি দেওয়ার ফলে সরকারি কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করাও সম্ভব হয়েছে। তামাক বিক্রির সময় বেলপ্রতি কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হতো। এমপির হস্তক্ষেপে তাও বন্ধ হয়েছে। এমপির এ উদ্যোগের ফলে তামাক চাষিরাও খুশি। এছাড়া সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় কার্যক্রমেও এলাকার মানুষ উপকৃত হয়েছে।
এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে এমপি অ্যাডভোকেট সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, ‘এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও তাদের উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। উন্নয়নের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নশীলতার এ ধারায় আমিও পাল্টে দিতে চাই সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলার মানুষের ভাগ্য। এরপরও আমি আমার নির্বাচনী সভায় বলেছি, নির্বাচনের পরও বিভিন্ন সময় বলেছি আমি মানুষ, আমারও ভুল হতে পারে। অভিমান করে দূরে সরে থাকবেন না, ভুল ধরিয়ে দেবেন, সঙ্গে থেকে দৌলতপুরের মানুষের উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন।’
দৌলতপুরের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট অফিসার (পিআইও) সাইদুর রহমান বলেন, ‘এমপি স্যার কোনো কাজে বাইরে গেলে জরুরি কাজে তাকে দরকার পড়তে পারে। আমরা সব সময় তো তার সঙ্গে কথা বলতে পারি না। সে ক্ষেত্রে আমরা বলেছি একজন প্রতিনিধি দিলে ভালো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। কারণ ওই প্রতিনিধি তো আর কোনো স্বাক্ষর করছেন না। প্রতিনিধি মানে তার মাধ্যমে এমপির কাছে বিষয়টি নজরে দেওয়া। এটা অন্যভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি কর্মকর্তা। আমার একটি দায়িত্ব আছে। আইনের মধ্যে যা আছে তাই করব।’
দৌলতপুর খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি থাকায় সব কাজে গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোনো সমস্যায় দ্রুত পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে সরকারি পর্যায়ে কৃষকের কাছে থেকে ধান কেনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ বলেন, আগের থেকে এখানে সব কাজে স্বচ্ছতা ও গতি ফিরে এসেছে। আমি জেনেছি এমপির প্রতিনিধি হিসেবে একজন আসবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি।
এমপির অবর্তমানে তার প্রতিনিধি থাকলে কেমন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে সমস্যা কিসের? আমরা বিধি অনুযায়ী কাজ করব।’
স্থানীয় মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, বর্তমান এমপির সততা ও সাহসের কাছে হার মেনেছে অপরাধীরা। চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে তাদের ভালো পথে আসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। এভাবে এলাকায় শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে।