মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নুর ইসলামের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধুকে বেধরকভাবে মারপিট করে কানের সোনার দুল,হাতের সোনার চুড়ি সহ শাড়ির আচল থেকে ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ৫ মে বিকাল ৩ টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সাফিয়া বেগম হরিপুর বোয়ালদহ কান্তি নগর গ্রামে তার নিজের সম্পত্তির উপর মাপ ঝোপ করে একটি পাকা বাড়ি নির্মান করেছে। নিয়মনিতি অনুযায়ী বাড়ি করার সময় প্রায় ৪-৫ হাত জায়গা ছেড়ে রেখে দিয়েছে। তারপরেও পাশের বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিবেশি জালাল মল্লিক(৬৫) জালালের বউ ফেরদৌসি (৬০) জালালের ছেলে টোকন (২৮), টোকনের ভাই শিলন (৩৫), জালাল মল্লিকের ছেলের বউ আফসানা (৩৫), ও জালালের জামাই তিলাম (৪০) মিলে সাফিয়াকে বেধরকভাবে মারপিট করেছে।
ভুক্তভোগী সাফিয়া বেগম বলেন, আমার বাড়ির করা নিয়েই আমার সাথে শত্রুতা জালালের। ঘটনার দিন বিকালে আমার মা বাড়ির পিছনের নালা থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিস্কার করতে ছিলো। তখন জালাল এসে আমার মায়ের উপর আক্রমন শুরু করে। এটা দেখে আমি ঠেকাতে গেলে জালাল সহ তার পরিবারের লোকজন আমাকে এলোপাতারীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে। আমার পেটে লাথি মারে। তারপর আমার কানে থাকা দুইটি সোনার দুল,হাতে থাকা দুইটি সোনার চুড়ি এবং আমার শাড়ির আচলে থাকা নগদ পাচ হাজার দুইশ টাকা কেড়ে নেয়। আমাকে মেরে গুরুতর আহত করলে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহত সাফিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম জানান,তদন্তের পর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।