অনলাইন ডেস্ক : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে শুরু হবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীদের নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার পালা।
প্রতিবার ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ভরসা হলো লঞ্চ-বাস। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে রং করে নদীতে নামানো হবে অনেক পুরনো লঞ্চ। সেগুলোতে চলছে জোড়াতালি ও রঙ-চঙের কাজ। তাই তো গাড়ির ডিপোগুলোতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও রংমিস্ত্রিরা। পুরনো লক্কড়-ঝক্কড় লঞ্চ ও বাসগুলোকে মেরামত করা হচ্ছে। সেগুলোতে পড়ছে বাহারি রঙের প্রলেপ। কেরানীগঞ্জের চর কালিগঞ্জ ও শুভাড্ডার ডকইয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা যায়, ডকইয়ার্ডগুলোতে দেদার চলছে লঞ্চ ও বাস মেরামতের কাজ। শ্রমিকের হাতুরি টুংটাং শব্দে মুখর ডকইয়ার্ডগুলো। সেখানে পুরনো, চলাচলের অযোগ্য লঞ্চগুলো ঝালাইয়ের কাজ চলছে। নতুন করার চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। এসব মেরামতের শেষ করে পুরনো লঞ্চগুলোকে রং করছেন কয়েকজন রংমিস্ত্রি। অনেক লঞ্চগুলোই পাটাতন নষ্ট।
একদল শ্রমিক লোহার পাটাতন বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন করে সেখানে বসানোর জন্য। রশি বেঁধে বিপৎজনকভাবে লঞ্চের বাইরে ঝালাইয়ের কাজ করছেন একজন শ্রমিক। নতুনত্ব আনতে লঞ্চের ভেতরে চেয়ারগুলোতেও লাগানো হচ্ছে রঙিন কাপড়।
রাজধানীর মাতুয়াইল ও সায়েদাবাদ বাসের ডিপোগুলোতে একইভাবে পুরনো বাসগুলোতে রং করে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। সারা বছর স্বাভাবিকভাবেই চলে পুরনো নষ্ট, লক্কড়-ঝক্কড় বাস। এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত ও নিহত হয় শত শত যাত্রী। তারপর টনক নড়ে না কর্তৃপক্ষের। রোজা শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয় বাসগুলোর মেরামতের চর্চা।
কিছু ঝালাই আর রঙের ছোঁয়ায় সেগুলোকে করে তোলা হয় চাকচিক্য। আবার দেখা যাচ্ছে কোনো গাড়ির ইঞ্জিনে সমস্যা কিংবা সিটগুলো ছেঁড়া। সেগুলো সরিয়ে গাড়িতে নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে নামানো হবে ঈদযাত্রায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পুরনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ-বাসে রঙ-চঙ মেখে বিভিন্ন রুটে বের করবেন। ফলে মানুষের ইমোশনকে পু্ঁজি করে তারা আয় করেন লাখ লাখ টাকা। আর তাদের ওই চাকচিক্য বাহনে চড়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় শত শত মানুষ।