আমিন হাসানঃ কুষ্টিয়ায় ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ, অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মশা, যত্রতত্র দোকান৷ এভাবেই চলছে কুষ্টিয়া পৌরসভা এলাকা৷
কুষ্টিয়া পৌরসভার রয়েছে আয়ের বিভিন্ন উত্স৷ বসতবাড়ির হোল্ডিং ট্যাঙ্, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ফি, জমি ক্রয় বিক্রয়ের পৌর কর ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ কর ইত্যাদি৷ কিন্তু এতো কিছুর পরেরও সুখে নেই পৌরবাসী৷ বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ পৌরসভাটির অন্তরগত মানুষ৷ পৌরসভার প্রধান সড়ক এনএস রোডে যত্রতত্র ফুটপাত দখলে যানবাহনের গাদাগাদি ও যানযটে অতিষ্ঠ শহরবাসী৷ শহরের বিভন্ন স্থানে ময়লা আর্বজনার সু্তুপ হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহান পৌরবাসী৷ আরো আছে মশা৷
অপর দিকে এসব সমস্যায় শুধু পৌরবাসী নয়৷ দূর্ভোগ পোহাতে হয় এ পৌরসভায় অধিনস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ডিগ্রি কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, বিভিন্ন মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন স্কুল, সরকারি বালক-বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী, অসংখ্য মসজিদের মুসলি্ল, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়গনষ্টি সেন্টারের রোগী ও রোগীর আত্নীয় স্বজন, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালতে আসা মানুষদের৷
সব মিলিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন পৌরবাসী৷
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের সম্মুখে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এই পথে চলাচলকারী মানুষ গুলোকে মুখে কাপর দিয়ে ও নিস্তার পাওয়া যায় না৷ এছারা পৌর বাজারের ভিতর অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন হলেও ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে দূর্ভোগ পোহাতে হয় ক্রেতাদের৷ এদিকে শুধু পৌর বাজার কেন্দ্রিক নয় এমন দৃশ্য দেখা যায় কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে৷ এসব এলাকাবাসীর দাবী আগে নিয়মিত পৌরসভা থেকে ট্রাক এসে এসব ময়লা নিয়ে যেত৷ কিন্তু এখন বিভিন্ন স্থানে ডাষ্টবিন তুলে দিয়ে ভ্যানের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে৷ তবে এতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হচ্ছে বলে তারা জানান এলাকাবাসী৷ ময়লা আবর্জনা সংগ্রহকারীদের অনিময়িত ময়লা নিতে আসা এবং বিভিন্ন কারনে এসব ভ্রাম্যমান ভ্যানগাড়িতে অনেক পৌরবাসী আবর্জনা না দেওয়াতে এসব ময়লা আবর্জনার ঠায় হচ্ছে পাশ্ববর্তি রাস্তায় অথবা ড্রেনে৷ আর এতে করে এসব ময়লার দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হচ্ছে৷ সেই সাথে বৃষ্টিতে পয়নিস্কাশনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ তবে এসবের জন্য পৌরসভার উদাসীনতাকেই দায়ী করছে শহরবাসী৷
অন্যদিকে পৌরসভার বেখেয়ালে এনএস রোডের বেশ কিছু ব্যাসয়ীক দোকান ছেড়ে রাস্তায় পণ্য সাজিয়ে রেখেছে৷ আর এতে করে দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময় তীব্র যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে এ সড়কে৷ বিশেষ করে এ সড়কে অবস্থিত সরকারী বালিকা বিদ্যালয় ও মিশন স্কুল ছুটি হলে এসব এলাকায় যানযটের সৃষ্টি হয়৷ এছাড়া সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতীবারে রাজার হাটের দিনে যানযটের মাত্র বেড়ে যায়৷ এনএস রোডের ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন এভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করলেও পৌরসভা কোন ব্যবস্থা না নেওয়াতে এসব ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া৷
অপর দিকে পৌরবাসীর সমস্যার মধ্যে অন্যতম আরেকটি সমস্যা মশা৷ দিন রাত ২৪ ঘন্টায় যেন মশার আক্রমন থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানুষ৷ বাসা বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যার পর থেকে মশার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি হয়৷ মশার উত্পত্তি মুলত ড্রেন স্যাতস্যাতে ময়লা আবর্জনার স্থান৷ উত্পত্তি স্থল পরিস্কার না করাতে দিন দিন মশার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এসব সমস্যায় শহরবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষের উপর৷