জিয়ারখী ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, বেরঘরিয়া চরপাড়া এলাকার জগাই এর ছেলে দুই সন্তানের জনক নাসির উদ্দিন একই এলাকার রেজাউল নামের প্রতিবেশী ভাতিজার বউকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন।
দুই প্রতিবেশী সম্পর্কের চাচা মাঝে মধ্যেই তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। মাঝে মধ্যে দাওয়াত ও খেতেন। সেই সুবাদে ভাতিজার বউ কে বৌমা বলে সম্মোধন করতেন ও শ্বশুর আব্বা বলে সম্বোধন করতেন। আসা-যাওয়ার মধ্যে তারা গোপনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে দুই সন্তানের জনক প্রতিবেশী শশুর ও এক সন্তানের জননী ভাতিজা বউ নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাই।
ঘটনার পর থেকেই লম্পট নাসির উদ্দিনকে সহায়তা করতে সমাজপতিরা উঠে পড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে ভাতিজা রেজাউলের সঙ্গে ফোনে জানতে চাইলে বলেন, আমরা একই সমাজের এবং তিনি সম্পর্কে চাচা হন আমার ।
আমি কখনো বুঝতেই পারি নাই তিনি আমার বউকে নিয়ে ভেগে যাবেন।বউকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপুল পরিমান টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন।
আমি এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এঘটনায় স্থানীয়রা জানান, নাসির উদ্দিন জঘন্য অপরাধ করেছে। সে স্থানীয় একটি মসজিদের খাদেম ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পরোকীয়ার অভিযোগ উঠলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।এরপরও সে তার লাম্পট্য থেমে থাকেনি তার সাথে আবারো যোগাযোগ রেখে তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন এখনো এমন কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।