কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী পাট কেনার জন্য আড়িয়া মন্ডল পাড়ার ফড়িয়া আবের আলীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন। কিন্তু আবের আলী মৌসুম শেষ হলে পাটও দেননি আবার টাকাও ফেরত দেননি।
এ নিয়ে আবেদ আলীর সঙ্গে ইলিয়াস আলীর কয়েকদফা ঝামেলা হয়েছে। সেই রাগে এবার ইলিয়াস আলীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছেলের বিরুদ্ধে আবেদ আলীর মেয়েকে অপহরণের দায়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন আবেদ আলী। শুধু তাই নয় এলাকার শিক্ষার্থীদের মিথ্যা গালগপ্প শুনিয়ে খেপিয়ে তুলে এ ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন আবেদ আলী।
ইলিয়াস আলী জানান, তিনি সরকারি লাইসেন্সধারী পাট ব্যবসায়ী। প্রতিবছর পাট ক্রয় মৌসুম শুরুর আগে তিনি এলাকার ফড়িয়াদের কাছ থেকে পাঠ কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকেন এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জুন মাসে তিনি ফড়িয়া আবের আলীকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ওই বছর কেনার মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ইলিয়াস আলীকে পাট দেননি আবের আলী। ইলিয়াস টাকা ফেরত চাইলে তিনি আজ দেবো কাল দেবো বলে ঘোরাতে থাকে।
পরে তাদের মধ্যে এ নিয়ে কয়েক দফা বাকবিতণ্ডা হয়। এই টাকা নিয়ে ইলিয়াসের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল। এই ঝামেলা থেকে বাচতে তার মেয়ে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেছেন ইলিয়াসের ছেলে লিংকনের নামে। লিংকন রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র গত ১৭ ই মার্চ তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় এ মামলা করেন ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে গত ১৭ ই মার্চ দুপুর ১২:৪০এ আবেদ আলীর মেয়ে সাদিয়া আরফিন স্থানীয় বড়গাংদিয়া বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আবুল কাশেম মেমোরিয়াল একাডেমির সামনে থেকে লিংকন আরও ২/৩ জনের সহযোগিতায় অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
এজাহারে বলা হয়েছে পরে সাদিয়া আরফিনকে মাইক্রোর মধ্যে মারধর করা হয় এবং সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া শহরের নিশান এলাকায় একটি তেল পাম্পের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
তবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অপহরণের ঘটনা আসলে একটি সাজানো নাটক। এলাকায় ওই ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। ঐদিন লিংকন গ্রামের বাইরে কোথাও যাননি। তিনি দুপুরে স্থানীয় মসজিদের জোহরের নামাজ আদায় করেন। মসজিদের মুসল্লিদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা মিলেছে।
লিংকনের বাবা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, পাওনা টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আবেদ আলী নিজের মেয়েকে ব্যবহার করে এই ঘৃণ্য কাজ করেছেন।
তিনি এ ব্যাপারে আবেদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।