কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়ার ইলিয়াস-সালমা দম্পতি চরম দরিদ্র্যে দিনাতিপাত করছিলেন। মাটির দেয়ালের জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস ছিল তাঁদের। বৃষ্টির সময় দেয়াল ভেঙে পড়ার ভয়ে ছিলেন তাঁরা। ছোট দুই শিশু নিয়ে যেন কষ্টের সীমা ছিল না।
নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থায় ঘর আর করা হয়ে ওঠেনি।
বিষয়টি কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা জানতে পারে এবং খোঁজখবর নিয়ে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ইলিয়াসকে নিজের জমিতে একটি টিনের ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ফলশ্রুতিতে আজ বুধবার বিকেলে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার সহায়তায় অসহায়দের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ কর্মসূচিতে ইলিয়াসের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্মাণ করা ঘরের চাবি। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক জনপ্রিয় লেখক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ইলিয়াসের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সারা দেশে অসহায়দের স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
ভালো কাজে সবার পাশে থেকে শুভসংঘ এ কাজ করছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা সারা দেশে অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এসব ভালো কাজ চলমান থাকবে।
এ সময় শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা বিটুমিনের বিভাগীয় এজিএম সাদ্দাম হোসেন, কালের কণ্ঠ কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, শুভসংঘ কুষ্টিয়ার প্রচার সম্পাদক এস এম জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঘর পেয়ে খুশি ইলিয়াস-সালমা দম্পতি বলেন, মাটির ঘরে অনেক কষ্টে ছিলাম। বৃষ্টির সময় মনে হতো মাটির দেয়াল ভেঙে পড়বে। বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া ঘরটি পেয়ে আমি সে দুঃখ ভুলে গেছি। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মঙ্গল করুন।