নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পাঁচ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। এর আগে ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় লঞ্চের ভেতরে কোনো মরাদেহ পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, উদ্ধার করা মরদেহের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তীরে আসা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজ পাঁচ জনের তালিকা পেয়েছি। আমাদের উদ্ধারকারী দল কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে একাধিক তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এর আগে গত রোববার বেলা ২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়।
সর্বমোট ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চার জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই মুন্সিগঞ্জের। দুই জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। পরিচয় পাওয়া চার জন হলেন- মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।
নিখোঁজ পাঁচ জন হলেন- সোনারগাঁও হরিয়ান প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), ঢাকা ডেমরার আব্দুল্লাহ আল যাবের আদনান (৩২), মুন্সিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫), আরোহী ও জোবায়ের হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।